ব্যস্ত সময়ে সঠিক পুষ্টিগুন সম্পন্ন খাবার খাওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। অফিসে যাওয়ার তাড়ায় অনেকেই না খেয়েই বের হয়ে যান। আবার ক্ষুধা নিবারণে আশ্রয় নেন হাবিজাবি খাবারের। এতে শরীর খারাপ হয়।
পুষ্টিবিদদের মতে সকালের খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকালের খাবারে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিনের সঠিক পরিমাপ থাকা দরকার। সকালের খাবার গুছিয়ে খাওয়ার সুযোগ না হলে খাওয়া যেতে পারে স্বাস্থ্যকর শরবৎ ও শেকে। এতে পেটও খালি থাকবে না, আবার দ্রুত বেরিয়ে যাওয়াও যাবে।
কলা-মাখনের শেক
কলায় রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন সি ও প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। বাদামের মাখনে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। কলা, দুধ ও বাদামের মাখন একসঙ্গে মিক্সারে দিয়ে শেক বানিয়ে নেওয়া যায় ২ মিনিটে। আর তা খাওয়াও যায় ২ মিনিটেই। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদানও পাওয়া যায় এর থেকে।
ছাতু-লেবুর শরবত
ছাতু প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এতে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিলে ভিটামিন সি যুক্ত হয়। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হাড় মজবুত করে তুলতেও ছাতুর শরবত অত্যন্ত কার্যকরী। ছাতু এমনিতে ওজন কমানোর পক্ষে সহায়ক। ছাতুতে ফাইবার থাকায় হজম সংক্রান্ত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। অফিসে যাওয়ার আগে এক গ্লাস ছাতু-লেবুর শরবত খেয়ে নিলে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন পাবে শরীর। ছাতু জল দিয়ে গুলে তাতে সাবান্য বিট লবণ মিশিয়ে নিতে হবে। এর সঙ্গে একটু পাতিলেবুর রস মিশিয়ে দিলেও স্বাদ, গন্ধ, পুষ্টিগুণ বাড়বে। তবে কেউ ওজন কমাতে চাইলে চিনি বাদ দিতে হবে।
প্রোটিন শেক
স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। এতে থাকে নানা রকম খনিজও। ফল, প্রোটিন গুঁড়ো ও দুধ দিয়ে বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে প্রোটিন শেক। অফিসে যাওয়ার আগে প্রোটিন শেক খেলে শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ সবই যাবে। এতে প্রচুর ক্যালোরি থাকে। কয়েক ঘন্টা খাবারের দুশ্চিন্তা না করলেও হবে। সূত্র: আনন্দবাজার