জাহিদুর রহমান তারেক, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গাবলা গ্রামের ধর্ষক হাফিজ উদ্দীন মোল্লা দেড় মাসেও গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে বলে দাবী করেছে। এদিকে ধর্ষিতার পরিবার লম্পট হাফিজ উদ্দীন মোল্লা গ্রেফতার না হওয়ায় হতাশার মধ্যে রয়েছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, গাবলা গ্রামের এক স্কুল ছাত্রীর নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকী ও একমাত্র ভাইকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে এক বছর ধরে ধর্ষন করে আসছে হাফিজ উদ্দীন মোল্লা। গ্রাম্য মাতুব্বর হাফিজ উদ্দীন মোল্লা গাবলা গ্রামের মৃত বিলাত আলী মোল্লার ছেলে। ভাবি রুলি খাতুন জানান, নবম শ্রেনীতে পড়–য়া তার ননদকে লম্পট হাফিজ মোল্লার ক্রমাগত ধর্ষনের হাত থেকে বাঁচাতে হরিণাকুন্ডু উপজেলার জোড়াদহ ভায়না গ্রামে বিয়ে দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। একমাত্র ভাই টিটোনকে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার হুমকী দেখিয়ে বিয়ের পর আবারো ধর্ষন করে হাফিজ মোল্লা। উপায়ান্তর না পেয়ে গত ১৪ মে ধর্ষনের শিকার মেয়েটি শৈলকুপা থানায় একটি অভিযোগ দেন। এ ঘটনার পর থেকে হাফিজ উদ্দীন মোল্লা গা ঢাকা দিয়ে আছেন। হাফিজ মোল্লা গ্রামের ধ্বনী ও মাতুব্বর শ্রেনীর মানুষ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেও টু-শব্দ করে না। রুলি খাতুন জানান, হাফিজ মোল্লার লালসা থেকে বাঁচতে ননদকে না পড়িয়ে অল্প বয়সে আমরা বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু বিয়োর পরও ভয় ভীতি দেখিয়ে আমার ননদকে নানা স্থানে নিয়ে ধর্ষন করতো। সর্বশেষ গত ৬ মে ঝিনাইদহে নিয়ে তাকে ধর্ষন করে। নির্যাতিত মেয়েটি জানায় এলাকার স্কুল পড়–য়া মেয়েদের লালসার শিকার বানায় হাফিজ মোল্লা। এ পর্যন্ত সে গাবলা গ্রামের ৭/৮টি মেয়ে ফাঁদে ফেলে ধর্ষন করেছে। তার হাত থেকে তার আপন ভাগ্নিও বাদ যা নি। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাদিউজ্জামান বলেন, ধর্ষক হাফিজ মোল্লাকে গ্রেফতার করতে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করছি, কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘন ঘন স্থান পরিবর্তনের কারণে গ্রেফতার মিশন সফল হচ্ছে না। তিনি বলেন দ্রুতই আসামী গ্রেফতার হবে বলে আশা করছি।