নিউজ ডেস্ক:
পেশাদারী যেকোনো কাজ করার জন্য দরকার প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ কাজে দক্ষতা বাড়ায়।
অনেক সময় দেখা যায় প্রশিক্ষিত জনবল থাকা স্বত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানের পারফরম্যান্স ভালো হয় না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণের পেছনে অঢেল অর্থ ব্যয় করলেও দেখা যায় কিছু কর্মীর কাজের গতি ও মানসিকতা প্রায় অপরিবর্তিতই থেকে যায়। এতে করে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ক্ষমতা ও লক্ষ্য অর্জন দুটোই বিলম্বিত হয়।
এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিষ্ঠানের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে মোটিভেশনের গুরুত্ব কেন এত বেশি।
এটা খুবই সত্যি যে, কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর বা সব কিছু জানার পর কর্মী তা কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগাবেন এটাই প্রত্যাশা করা হয়। বাস্তবে সবক্ষেত্রে এমনটি নাও হতে পারে। দৈনন্দিন জীবনে কেউ জামাকাপড় স্ত্রী করা বা কাপড় কাচতে জানলে যে তিনি তা সবসময় করতে চাইবেন, তা কিন্তু নয়। আসলে একজন মানুষ যত জ্ঞানীই হোন না কেন, কাজ করার আগ্রহ বা মোটিভেশন না থাকলে সেই জ্ঞান অকার্যকর হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে খেয়াল করলে দেখা যাবে প্রয়োজনীয় জ্ঞান বা তথ্যাদি না থাকলেও একজন মানুষের মধ্যে যদি যথেষ্ট পরিমানের মোটিভেশন থাকে তাহলে সে ঠিকই যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করে নিতে চাইবে। তাই এমপ্লয়ী মোটিভেশন যেকোনো তথ্য বা ট্রেনিং এর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।
প্রায়ই দেখা যায় কর্মক্ষেত্রে কিছু কর্মীর দৈনন্দিন কাজ করতে আলস্য বা অনাগ্রহ থাকে। এরা কাজ ফেলে রাখে। এতে করে অন্য সহকর্মীদের স্বাভাবিক কাজে অসুবিধা হয়। বিশেষ করে দলগত কাজের ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে রিপোর্টিং করা সম্ভব হয় না বা নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়ে। এ ধরনের ক্ষেত্রে মোটিভেশনাল ট্রেইনিং দারুন কাজ করে।
কাজে আলস্য বা দীর্ঘসূত্রিতা যেকোনো এমপ্লয়ীর খারাপ পারফরম্যান্সের মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কোনো এমপ্লয়ী যদি ‘যা হয় হোক’ বা ‘ক্যাজুয়াল’ মনোভাব সম্পন্ন হয়, সেক্ষেত্রে ‘ট্রেনিং’ বা ‘স্কিল’ তার পারফরম্যান্সের উন্নতি ঘটাতে পারবে না। আর তাই, যেকোনো ট্রেনিং দেয়ার পূর্বে এমপ্লয়ীর আগ্রহ বা মোটিভেশন এর মাপকাঠি যাচাই করে নেয়া দরকার। সবসময়ই পারফরম্যান্স বাড়ানোতে ‘ট্রেনিং’ এর চেয়ে এমপ্লয়ীর ‘মোটিভেশন’-ই বেশি জরুরি।
নতুন কিছু শিখার ক্ষেত্রে প্রায় দেখা যায় যে, মোটিভেশনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুর্ভাগ্যবশতঃ পূর্বেকার অধিকাংশ কর্পোরেট ট্রেনিংয়ে এই বিষয়টির ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করা হতো না, কিন্তু ভালো খবর হল এই যে, বেশ কয়েক বছর ধরে এই ধারণার পরিবর্তন হচ্ছে।