শিশুর বিছানাপত্র এবং কাপড়:
নিয়মিত শিশুর বিছানাপত্র এবং কাপড় গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এক্ষেত্রে যা করা থেকে বিরত থাকতে হবে যেমন…
সুগন্ধী ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকা।
পরিবারের অন্য সদস্যদের জামা কাপড়ের সাথে শিশুর কাপড় না মেলানো।
বেবী প্রোডাক্ট ব্যবহার:
শিশুর জন্মের পর অন্তত প্রথম ৬ মাস বেবী প্রোডাক্ট সাবধানে ব্যবহার করা।
আপনার বংশে যদি এলার্জি কিংবা অ্যাজমা (Asthma) এর রেকর্ড থেকে থাকে, তাহলে ব্যবহার না করা। কারণ নামে উপকারী হলেও এইসব বেবী প্রোডাক্ট শিশুর শরীরের প্রাকৃতিক আবরণ নষ্ট করে, যার কারণে শিশুর ত্বকে স্কিন ইনফেকশন (Infection) হতে পারে।
পেট্রোলিয়াম জেলী ব্যবহার:
শিশুর স্পর্শকাতর অঙ্গগুলোতে পেট্রোলিয়াম জেলী ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া যদি বেবী ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করেন, তবে লক্ষ্য রাখবেন পাউডার যাতে শিশুর মুখের দিকে না যায়। এতে শিশুর শ্বাসের সমস্যা হতে পারে।
ঘন ঘন তেল বা লোশন:
তেল ও লোশন ব্যবহারের কারণে শিশুর ত্বক আর্দ্র থাকে। শুষ্কতা থেকে সুরক্ষা পায়। কিন্তু অনেক মা-ই ঘন ঘন লোশন বা তেল মেখে দিতে থাকেন। এটা ঠিক নয়। বারবার লোশন বা তেল ব্যবহারে শিশুর ত্বকের লোমকূপ বা ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়, ঠিকভাবে কাজ করে না। এতে ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। নবজাতকের বয়স ১৫ দিন পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের তেল, লোশন, পাউডার লাগানো ঠিক নয়। এরপর শিশুর ত্বকে দিনে এক থেকে দুইবার জলপাই বা নারকেল তেল দিতে পারেন।
শিশুর ডায়াপার:
আপনার শিশুর ডায়াপার (Diaper) নিয়মিত চেক করবেন। অধিক সময় ধরে নোংরা ডায়াপার পরা থাকলে শিশুর চামড়ায় র্যাশ (Rash) হতে পারে, যা শিশুর জন্য ক্ষতিকর।
বেবী ওয়াইপ:
শিশুর ত্বক ম্যাসাজের নিয়ম:
শিশুর ত্বক কে আরো স্বাস্থ্যকর কর তুলতে ম্যাসাজ করতে পারেন। তবে সেটা অবশ্যই জন্মের অন্তত দশ সপ্তাহ পর থেকে। রিসার্চে দেখা গেছে শিশুকে কিভাবে স্পর্শ করা হচ্ছে, তার উপর শিশুর সুস্থতা ও বৃদ্ধি খানিকটা নির্ভর করে। শিশুর শরীর ম্যাসাজের জন্য স্পেশাল কোন টেকনিক নেই। একটি উষ্ণ রুমে শিশুকে ভাঁজ করা কম্বলের উপর উপুড় করে শোয়ান। এরপর স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ বেবী লোশন কিংবা বেবী অয়েল হাতে মেখে নিয়ে আলতো করে শিশুর শরীরে বুলান। মনে রাখবেন, শিশুর শরীরে যাতে চাপ না লাগে। এতে শিশু ব্যাথা লাগতে পারে। সাবধানে আলতো ভাবে সারা শরীরে ম্যাসাজ করুন। এতে শিশুর চামড়া নরম এবং স্বাস্থ্যকর হবে।
সুস্থ ও হাসিখুশি একজন নতুন অতিথি কে না চায়? তাই আপনার নবজাতকের ভবিষ্যৎ সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তার লক্ষ্যে জন্ম থেকেই তার যত্ন নেওয়া জরুরী।