আগামী ২৪ ঘণ্টা শর্ত সাপেক্ষে জরুরি সেবা চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। একজন চিকিৎসকের বিপরীতে একজন নিরাপত্তা রক্ষী থাকার শর্তে জরুরি সেবা চালু হবে বলে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের রেসিডেন্ট চিকিৎসক আবদুল আহাদ।
তিনি বলেছেন, যত চিকিৎসক তত নিরাপত্তা কর্মী থাকার শর্তে জরুরি সেবা চালু হবে। যদি এখন শর্তপূরণ হয়, তবে এখনই জরুরি সেবা চালু হবে।
বিলম্ব হলে দায়ী সরকার।
আজ রোববার (১ সেপ্টেম্বর) আন্দোলনকারীদের কমপ্লিট শাটডাউন স্থগিত করার ঘোষণার পর এসব কথা বলেন ঢামেকের রেসিডেন্ট চিকিৎসক আবদুল আহাদ।
তিনি বলেন, বিভাগীয় হাসপাতালে নিরাপত্তা দেয়ার সামর্থ্যের কথা জানিয়েছেন উপদেষ্টা। জরুরি অপারেশন হবে যতজন ডাক্তার, ততজন নিরাপত্তা দেয়ার শর্তে। যেখানে দিতে পারবে নিরাপত্তা, সেখানে শুরু হবে সেবা।
তবে আগামীকাল সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত আটটার আগে দাবি না মানলে পরে আবার শাটডাউন শুরু হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এছাড়া আউটডোর সেবা সাতদিন বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ঢামেকের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহ অধ্যাপক সুমন রানা বলেন, অনিরাপদ অবস্থায় নিজেকে অরক্ষিত রেখে কীভাবে ডাক্তার সেবা দেবে? দেশের বেশ কয়েকটি হাসপাতালে হামলা হয়ে গেছে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দেয়া হোক, আমরাও চিকিৎসা সেবা দেয়া শুরু করবো।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হলেও রাষ্ট্রপতি এখনও আছেন। অধ্যাদেশ অনুযায়ী আইন করা সম্ভব, পরবর্তী সরকার আইন পাশ করবে (চিকিৎসক সুরক্ষা আইন)।
এর আগে, রোববার চিকিৎসকদের মারধর ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শাটডাউন ঘোষণা দেন চিকিৎসকরা। তবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেওয়ার পর আগামীকাল সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি স্থগিত করেন চিকিৎসকরা।