নিউজ ডেস্ক:
শরীর সুস্থ রাখতে অন্যান্য উপাদানের মতো আয়রনও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য এটি অত্যাবশ্যকীয়। হিমোগ্লোবিন এক ধরণের প্রোটিন যা লাল রক্ত কণিকার মধ্যে থাকে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে।
অন্যদিকে, আয়রনের অভাবে শরীরে রক্তস্বল্পতা হয়। ক্লান্তি ভাব, মাথাব্যথা, হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, অবসন্নতা, ফ্যাকাশে চামড়া, ভঙ্গুর চুল, শ্বাসকষ্ট, ঘুমের অসুবিধা ইত্যাদি আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ। আয়রন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেক গুণ বৃদ্ধি করে। তাই শরীরে এর ঘাটতি মেটাতে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অত্যাবশ্যকীয়। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই আয়রনের উৎসগুলো সম্পর্কে।
১। ডার্ক চকলেট
আপনারা সবাই জেনে খুশি হবেন যে ডার্ক চকলেট আমাদের জন্য ভালো। হ্যাঁ, ডার্ক চকলেট আয়রনের একটি ভালো উৎস এবং এতে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও থাকে।
২। পালং শাক
এক কাপ রান্না করা পালংশাকে ৬ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে, এছাড়াও এতে প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ ও ই থাকে। রান্না করা পালং শাক এর পুষ্টি উপাদান খুব সহজেই শরীর শোষণ করে নিতে পারে। বাচ্চাদের জন্য এটা খুবই ভালো।
৩। কুমড়ার বিচি
এক কাপ কুমড়ার বিচিতে ২ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। সুস্বাদু কুমড়ার বিচি রান্না করে, সালাদের সাথে, সেদ্ধ করে বা ভেঁজে বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। তাই কিছু কুমড়ার বীজ বাসায় রাখুন।
৪। কলিজা
আয়রনের সবচেয়ে ভালো উৎস হচ্ছে কলিজা। এছাড়াও এতে ভিটামিন, খনিজ লবন ও প্রোটিন থাকে। গরুর কলিজাতে আয়রনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এক স্লাইস গরুর মাংসে ৫ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। যারা কলিজা খেতে পছন্দ করেন না তারা ডিম ও লাল মাংস খেতে পারেন।
আধা কাপ ডিমের কুসুমে ৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে এবং ৩ আউন্স লাল মাংসে ২-৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে।
৫। সেদ্ধ আলু
সেদ্ধ আলুতে ভিটামিন সি, বি ভিটামিন, প্রচুর পটাশিয়াম থাকার পাশাপাশি উচ্চমাত্রার আয়রন থাকে। খোসা সহ একটি সেদ্ধ আলুতে ৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে।
৬। ছোলা
এক কাপ ছোলাতে ৫ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে এবং এতে প্রোটিন ও থাকে। নিরামিষ ভোজীদের জন্য ছোলা আদর্শ খাদ্য। ছোলা খুবই উপাদেয় খাবার। এটা সালাদ ও পাস্তার সাথেও ব্যবহার করা যায়।
৭। ডাল
আয়রনের আরেকটি ভালো উৎস হলো ডাল। এক কাপ ডালে ৬ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে এবং প্রচুর ফাইবার থাকে। এতে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কম থাকে এবং রক্তের সুগার লেভেল ঠিক রাখে।