নিউজ ডেস্ক:
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি ভবনের নিচ দিয়ে চলার সময় তিনতলা থেকে মাথায় ইট পড়ে আহত ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আখিদুল ইসলাম এখনো শঙ্কামুক্ত হননি।
আখিদুল এখন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে মোহাম্মদিয়া হাউজিং সোসাইটির ৭ নম্বর রোডের ১/বি নম্বর বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই ভবনের তিনতলা থেকে একটি ইট তার মাথায় পড়ে। এতে আখিদুল গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা প্রথমে পঙ্গু হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে আখিদুলকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
এ ঘটনায় আখিদুলের বড়বোন নাসরিন হোসেন মোহাম্মদপুর থানায় একটি অভিযোগ করলে ওই বাড়ির মালিক মো. মোশাররফ হোসেন ও তার ছেলে ফয়সালকে আটক করে পুলিশ। পরে আখিদুলের চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাসে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আখিদুলের পারিবারিক সূত্র থেকে জানা গেছে, স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছেন আখিদুলের অবস্থা উন্নতির দিকে। তাকে লাইফ সাপোর্ট খুলে সোমবার বিকেলের দিকে তাকে ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) থেকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে তার ফুসফুসে ইনফেকশন পাওয়া গেছে। নিউমোনিয়াও ধরা পড়েছে। এগুলো পরীক্ষা করার জন্য স্যাম্পল ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তার বাম চোখ হারানোর শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে আখিদুলের দুলাভাই চিত্রশিল্পী মোস্তাফিজ কারিগর বলেন, সে (আখিদুল) সুস্থতার দিকে যাচ্ছে। তবে চিন্তার বিষয় হলো তার বাম চোখ পার্মানেন্টলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে বলে চিকিৎসকের আশঙ্কা করছেন। চিকিৎসকরা এখন তার মাথার আঘাতের বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন। এটি সেরে উঠলে চোখের বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ও আমাদের চিনতে পারছে। ক্ষুধা লাগলে খাবার চাইছে। শুইয়ে দিতে বলছে। কিন্তু সমস্যা হলো- তার ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়েছে। চোখের সমস্যা ও ফুসফুসের বিষয়টি বিবেচনা করলে তাকে আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।
মোস্তাফিজ কারিগর বলেন, ওই বাড়ির মালিক আমাদের শত্রু না। আমরা চাই না তিনি অযথা হয়রানির শিকার হোন। অন্যদিকে আখিদুলের উন্নত চিকিৎসা দরকার। যা আমাদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। যেহেতু তাদের গাফিলতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেহেতু আমরা তাদের সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলাম। তারা প্রথমে রাজি না হলেও পরে আখিদুলের চিকিৎসার জন্য তারা কিছু টাকা আমাদের দিয়েছেন। তার চিকিৎসার জন্য আরো অনেক টাকার প্রয়োজন।