স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব থেকে প্রস্তুতি নেয়া যমুনা টেলিভিশনের লক্ষ্মীপুর-১ রামগঞ্জ আসনে “জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮” এর টকশো অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বেচ্চাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী, জেলা বিএনপির সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান বাহার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আ.ক.ম রুহুল আমীন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চু, সাবেক পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বেলাল আহম্মেদ, সুশীল ব্যাক্তিত্ব অপূর্ব কুমার সাহা, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্চাসেবি সংগঠন রামগঞ্জ ব্লাড ডোনার’স ক্লাবের সভাপতি মাহমুদ ফারুক ও নতুন নারী ভোটার হিসাবে মুন্নী ইসলামকে মনোনিত করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিএনপি নেতাদের উপস্থিতি স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। এক পর্যায়ে বেলা সোয়া বারোটায় অতিথি ও আয়োজকদের হস্তক্ষেপে শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয়ে বেলা ১টায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর পরই সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলাম লেদুর নেতৃত্বে একদল উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মী টকশোতে অংশ নেয়া বিএনপি সমর্থিত অতিথি ও টকশো দর্শকদের উপর হামলা করে।
এসময় তারা প্লাষ্টিকের চেয়ার দিয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান বাহার, যুবদল নেতা আবদুল হান্নান টিটু, রনি ও মাহাবুবসহ ৪জনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আ.ক.ম রুহুল আমীন ও পুলিশসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আ.ক.ম রুহুল আমীন জানান, আসলে ঘটনাটি এমন নয়। মূলত বিএনপি’র সভাপতি নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ও বিএনপির বর্তমান সভাপতি আবদুর রহিম ভিপির সাথে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে অভ্যন্তরিন দ্বন্ধের কারনে এমন ঘটনা ঘটেছে।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ তোতা মিয়া জানান, ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা বা আহত হওয়ার খবর কেউ জানায়নি।