নিউজ ডেস্ক:
রোহিঙ্গাদের পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করেছে মিয়ানমারের সশস্ত্রবাহিনী। মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপির অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
সোমবার এপি তাদের ‘রোহিঙ্গা মেথোডিক্যালি রেপড বাই মিয়ানমার’স আর্মড ফোর্সেস’ শীর্ষক প্রতিবেদনের শুরুটা করেছে এভাবে,
সেনারা আসলো, তারা প্রায়ই এটা করে, সূর্যাস্তের অনেক পরে এসেছিল’ এটি ছিল জুন মাস।
পশ্চিম মিয়ানমার অঞ্চলের বাসিন্দা ওই নবদম্পতি তাদের ঘরে ঘুমাচ্ছিল, ঘরটির চারপাশে গমক্ষেত।
রোহিঙ্গা মুসলিম নারী তার নামের প্রথম অক্ষর ‘এফ’ নামেই পরিচয় দেন। তার আতঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ ছিল। যে জানতো সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলোতে আক্রমণ করছে, জাতিসংঘ যেটিকে আখ্যা দিয়েছে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির ‘জাতিগত নির্মূল’ হিসেবে।
সে এ রোহিঙ্গাদের গ্রামে সেনাদের আক্রমণের খবর শুনেছে তার বাবা-মাকে হত্যার কয়েকদিন পূর্বে, এবং পরে তার ভাইও নিখোঁজ হয়ে যায়।
‘এফ’ বললো, সে বুঝতে পারে এবার সেনারা তার জন্য এসেছে। সেনারা তার স্বামীকে দড়ি দিয়ে বাঁধলো। তার মাথার ওড়না ছিড়ে তার মুখ বেঁধে ফেললো।
গহনাগুলো খুলে নিল, শরীরের কাপড় ছিড়ে ফেলে তাকে মেঝেতে ছুড়ে ফেলা হলো। এরপর প্রথম সৈন্য তাকে ধর্ষণ করলো। সে প্রতিবাদের চেষ্টা করেছে। কিন্তু চারজন সেনা তাকে ধরে রেখেছিল এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করছিল। ওই সময়ে ‘এফ’ তার স্বামীর দিকে ভয়ার্ত চোখে তাকিয়েছিল, স্বামীর দৃষ্টিতেও ফুটে উঠেছিল অসহায়ত্ব।
এরপর ‘এফ’ দেখলো এক সৈন্য তার স্বামীর বুকে গুলি করলো যাকে যে এক মাস আগে বিয়ে করেছিল। সেনারা তার স্বামীর গলাও কেটে দেয়।
মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপির অনুসন্ধান