নিউজ ডেস্ক:
রোগ সারাতে ১৮ বছেরের এক তরুণীকে প্রচণ্ড মারধরের পর জোর করে গোবর খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল এক হাতুড়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের লাতুর জেলায়। জোর করে গোবর খাওয়ানোর ওই ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে।
জানা গেছে, স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের ওই তরুণী শিক্ষার্থী বেশ কিছুদিন ধরেই পেটের সমস্যা ভুগছিলেন। তাতে পরিবারের সন্দেহ হয় মেয়ের ওপর কেউ বোধ হয় কালো জাদু করেছে। আর সেই সন্দেহ থেকেই গত ৪ জুন কর্নাটকের বিদার জেলায় এক হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় ওই তরুণীকে। তরুণীর সঙ্গেই ছিলেন মৃগীরোগে আক্রান্ত আরও এক বৃদ্ধা। রোগ সারাতে মন্ত্রতন্ত্র কিংবা হাতুড়ে ডাক্তারের মতো তথাকথিত চিকিৎসার বদনাম রয়েছে এই বিদার জেলার। সেখানে নেওয়ার পর ওই তরুণীকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। এরপর তাঁকে জোর করে গোবর খাওয়ানো হয়। তরুণীর পাশাপাশি বয়স্ক নারীর সঙ্গেও একই ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ।
গোবর খাওয়ার সময়ই এক অভিযুক্ত ব্যক্তি পুরো ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখেন। এরপর ওই ভিডিও সোশ্যাল সাইটে পোস্টের পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। একইসঙ্গে পুলিশেরই কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার ফোনেও পৌঁছে যায় সেই ভিডিও। আর তা পেয়েই পুলিশের পক্ষ থেকেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এই ঘটনায় ওই তরুণীর বাবা, অভিযুক্ত হাতুড়ে চিকিৎসকসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে লাতুর জেলার চাকুর থানায় অভিযোগ দায়ে করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়েই গতকাল মঙ্গলবার চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যদিকে হাতুড়ে চিকিৎসকের খোঁজে পুলিশের একটি দল কর্নাটকের বিদার জেলায় অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
পাশাপাশি লাতুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ‘মহারাষ্ট্র প্রিভেনশন অ্যান্ড ইরাডিকেশন অফ হউিম্যান স্যাক্রিফাইস অ্যান্ড আদার ইনহিউম্যান এভিলস অ্যান্ড অঘোরি প্রাকটিশ অ্যান্ড ব্ল্যাক ম্যাজিক-২০১৩’ আাইন অনুয়ায়ী অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।