নিউজ ডেস্ক:
ইতালিতে এমন একটি দ্বীপ রয়েছে যেটা ‘আইল্যান্ড অফ্ ডেড’ নামে পরিচিত। এই দ্বীপটির সম্পর্কে কথিত রয়েছে যে একবার এই দ্বীপে যায় সে আর জীবিত ফিরে আসে না। এর পেছনে রয়েছে একটি ভয়ানক কাহিনী। কথিত আছে যে কয়েকশো বছর আগে এখানে দেড় লক্ষ প্লেগ রোগীকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল।
প্লেগের রোগীদের এখানে আনা হতো মেরে ফেলার জন্য। পরে ব্ল্যাক ডেথ (কালো জ্বর) এর সময়ে এই দ্বীপকে একই কারণে ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে যখন রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তখন প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার অসুস্থ মানুষকে জীবন্ত দগ্ধ করা হয়। ১৯২২ সালে এখানে মানসিক হাসপাতাল তৈরি করা হয়। কিন্তু কয়েক বছর পর এটাকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়ার কারণ ছিল ডাক্তার এবং নার্সরা অস্বাভাবিক জিনিস দেখতে পান। তার সাথে হাসপাতালে ভর্তি মানসিক রোগীরা মৃত প্লেগ রোগীদের আত্মা দেখতে পেতেন।
হাসপাতাল বন্ধের কয়েক বছর পর পর্যন্ত দ্বীপ জনশূন্য পড়ে। এরপর ১৯৬০ সালে ইতালির সরকার একটি বেসরকারি মালিকের কাছে বিক্রি করে দেয়। তিনি তার পরিবারকে নিয়ে কয়েকদিন এখানে সময় কাটান। কিন্তু কিছুদিন পর তারাও এই দ্বীপ ছেড়ে চলে যান। এরপর আরেকটি পরিবার এই দ্বীপটিকে হলিডে হোম তৈরি করার জন্য কেনেন। কিন্তু তারাও একদিন পর এই জায়গাটিকে ত্যাগ করেন। বলা হয় যে দ্বীপের মালিকের মেয়েকে কেউ কামড়ে দেয়। যার ফলে তাকে ১৪টি ইঞ্জেকশন নিতে হয়।
এই সমস্ত ঘটনার পর কয়েকজন বিষয়টিকে নিয়ে তদন্ত করার চেষ্টা করেন। যারা এখানে সত্যতা সন্ধান করতে গিয়েছিলেন তারাও জীবিত ফিরে আসেননি। আর যারা জীবিত ফিরে এসেছিলেন তারা বলেন এখানে প্লেগ রোগীদের আত্মা রয়েছে। এই দ্বীপে রাত কাটিয়েছেন এমন একজন ব্যক্তি বলেছেন কোনও একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে এই দ্বীপ ছেড়ে দিতে বলেন। সে আরও বলে যে যদি তুমি এখান থেকে না যাও তাহলে তোমার এখান থেকে জীবিত ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে না। এই ভুতুড়ে দ্বীপের সত্যতা এখনও রহস্য হয়ে রয়েছে।
উত্তর ইতালি ভিনিস্বাসী উপহ্রদ অবস্হিত এই দ্বীপে প্রবেশ নিষিদ্ধ। সরকার এখানে যাওয়ার ব্যাপারে জনগণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। জেলেদের মাছ ধরতে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলেদের জালে অনেকসময় মানুষের হাড় উঠে আসে।
সূত্র: ইন্টারনেট