নিউজ ডেস্ক:
প্রায় দু’শো বছরের পুরানো একটি ‘ম্যাজিক গ্লাস’। যার ১৪ ফুট দূরে দাঁড়ালে ব্যক্তির নগ্ন ছবি কাচের গায়ে ভেসে উঠছে।
১১ ফুট দূরে দাঁড়ালে কঙ্কাল, আর ৯ ফুট দূরে দাঁড়ালে কোনও প্রতিচ্ছবিই দেখা যাচ্ছে না।
অদ্ভুত এই কাচের খণ্ড উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারতের আলিপুরদুয়ারের বন দফতর ও পুলিশ মহলে। কার্যত চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছিল পুলিশ ও বনকর্তাদের। তবে তাদের ভুল ভেঙেছে নকল প্রাচীন জিনিসের ব্যবসা চালানো এক ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
হাতির দাঁতের অংশ, একটি ওয়ান শটার পিস্তল ও একটি রিভলভার সহ শুক্রবার ভারত-ভুটান সীমান্তের জয়গাঁও শহরের বিবেকানন্দপল্লি এলাকা থেকে মজনু আলি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রায় ২০০ বছরের পুরনো একটি কাচের খণ্ডের হদিশ পায় পুলিশ। তার বাড়ি থেকে শনিবার রাতেই ৫ ফুট লম্বা ও দেড় ফুট চওড়া সেই কাচের খণ্ডটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘন বাদামি রঙের সেই কাচের গায়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নাম লেখা। সাল উল্লেখ করা হয়েছে ১৮১৮। আর সেই কাচ উদ্ধারের পর তার ‘কীর্তি’ দেখে চোখ কপালে উঠে যায় তদন্তকারী অফিসারদের।
দেখা যায়, ১৪ ফুট দূরে দাঁড়ালে নগ্ন ছবি, ১১ ফুট দূরে দাঁড়ালে কঙ্কাল, আর ৯ ফুট দূরে দাঁড়ালে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। শুরু হয় আরও জিজ্ঞাসাবাদ। তাতেই রহস্যের জট খোলে। জানা যায়, এটি সম্পূর্ণ নকল একটি কাচ। বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষকে বোকা বানানো হত এর মাধ্যমে।
আটক মজনু হাতির দাঁত, গন্ডারের সিং সহ নানা নকল দুষ্প্রাপ্য জিনিসের কারবার চালাত। আন্তর্জাতিক বাজারে কয়েক কোটি টাকায় বিক্রি হয় প্রায় দুশো বছরের পুরনো এই কাচ।