মেহেরপুর সংবাদদাতা, ১৯শে জুন মেহেরপুর: মেহেরপুর জেলা শহরের তাঁতি পাড়ায় (হঠাৎ পাড়া) ১০ বছরের শিশু কন্যা ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এলাকার পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত দাউদ হোসেনের বিরুদ্ধে এ ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দিবাগত রাতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে নির্যাতিত মেয়েটির অভিযোগ।
অভিযুক্ত দাউদ হোসেন একই পাড়ার কাসেদ হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মারামারি ও চুরি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
ধর্ষিত মেয়েটি তাঁতি পাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার ৩য় শেণীর ছাত্রী। বাড়ি শহরের তাঁতিপাড়ায়।
এদিকে এঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে তাঁতি পাড়া। ধর্ষক দাউদের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ করছে এলাকাবাসীরা। এ ব্যাপারে মেহেরপুর সদর থানায় ধর্ষন মামলা হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার রাত ১০ টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় মেয়েটি তাঁর বড় চাচা জাহাঙ্গীরের বাড়িতে ঘুমানোর জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এসময় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে প্রতিবেশি দাউদ হোসেন তাকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে তার বাড়িতে রাতভর ধর্ষণ শেষে সকালে ছেড়ে দিলে মেয়েটি তার বাড়িতে গিয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। এসময় মেয়েটির মা-সহ পরিবারের লোকজন জিজ্ঞাসা করলে তখন মেয়িটি ঘটনা খুলে বলে। এসময় মেয়েটির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ঘটনা দেখে পরিবারের লোকজন নিশ্চিত হয়। পরে তারা স্থানীয় ৩ ও ৪ নম্বর কাউন্সিলরদের মাধ্যমে মেয়েটিকে নিয়ে সদর থানায় হাজির হয় পরিবারের লোকজন।
ধর্ষিতা মেয়েটি জানায়, প্রতিবেশী দাউদ তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সারারাত ধরে ধর্ষণ শেষে সকালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, দাউদ হোসেনের পরিবারের লোকজনের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। সে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এলাকার নিরীহ তরুণ যুবকদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়ে মোটা অংকের বানিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এদিকে অভিযুক্ত ধর্ষক দাউদের বাড়ির লোকজন ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর শাকিল রাব্বি জানান, অভিযুক্ত দাউদের বিচার দাবিতে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়েছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি তদন্ত মেহেদী হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযুক্ত দাউদ দুষ্টু প্রকৃতির মানুষ। তার বিরুদ্ধে মারামারি, চুরিসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। কোন পুলিশ কর্মকর্তার সোর্স হিসেবেও সে কাজ করতে পারে। তবে যায় হোক না কেন তাঁকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ধর্ষিতা মেয়েটিকে মেডিক্যাল টেষ্টের জন্য জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।