স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমানের ২একর ৬১শতক জমি দখল করে জোরপূর্বক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করছে সরকারী দলের কিছু নেতারা। এ নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান থানায় অভিযোগ করেও জমি ফেরত নিতে পারেনি। যাদবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান জানান, ৫৫নং কুলতলা মৌজার ৪২নং খতিয়ান ভুক্ত ৩৮৫নং দাগে ৫১শতক ও ৯৫৬দাগে ১একর ২৬শতক জমির এস এ ও আর এস এর মালিক আব্দার রহমান। দেশ ভাগাভাগির সময় তারা ভারত অংশে থেকে যায়। তার বাড়ী ভারতের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে। বর্তমানে আব্দার রহমানের ৩ ছেলে ও ৪ মেয়ে জীবিত আছে। আব্দুল লতিফ গং ২০১৭ সালে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে বাংলাদেশ হাইকমিশনার ,পররাষ্ট্রমন্ত্রলয়,জেলা প্রশাসক ও সাবরেজিষ্ট্রার এর মাধ্যমে ১০ভাগের এক বোন বাদে ৯ভাগ জমি পাওয়ার রেজিষ্ট্রি করে নাম পত্তন খাজনা খারিজ করা হয়। নিজে ভোগদখল করি। অবশিষ্ট ১ বোন সাজেদা খাতুন বাংলাদেশের অভায়নগর উপজেলার আমডাঙ্গা গ্রামে বসবাস করা কালিন তিনি সব জমি নিজের দাবি করে আদালতে একটি মামলা করেন, যেটি চলমান। আজিজুর জানান সাজেদা খাতুন ৪টি দাগে ২৯শতক জমি পাবে। যেটা এর আগে থেকে সে চাষাবাদ করে আসছে। এ অবস্থায় সাজেদা খাতুন এলাকার কুলতলা গ্রামের কিছু নেতাকে ম্যানেজ করে সব জমি দখল করে দিলে তাদের কিছু জমি ও একটি বিদ্যালয় করার জমি দেওয়া হবে মর্মে চুকতি করেন। সরকারী দলের কুলতলা গামের নুর ইসলাম,ফয়জুল্লাহ,রকিব,হাবিবুর রহমান সহ কিছু নেতা রাতারাতি জমির ধান কেটে জমি দখল করে একটি বিদ্যালয়ের সাইন বোর্ড টাঙ্গিয়ে বিদ্যালয় তৈরি করছে। এবং সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুরের লাগানো আমন ধানের জমি দখল করে নিয়েছে। এ ব্যাপারে আজিজুর রহমান থানায় একটি অভিযোগ করেছে তবে নেতাদের কারণে জমি ফেরত নিতে পারেনি। সমস্ত জমি দাবী কারি সাজেদা খাতুনের স্বামী আব্দুর রহমানের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন তারা ভারতের ইন্ডিয়ার নাগরিক তারা কি ভাবে জমি পায়। আমরা সব জমি পাবো। আমাদের কতটুকু জমি এ ব্যাপারে আদালত বুঝবে আপনার সাথে কথা বলার প্রয়োজন নেই। জমি দখলকারীদের মধ্যে কুলতলা গ্রামের জয়নাল আবেদীন নামের এক ব্যাক্তি বলেন ধান কেটে জমি দখল করা হয়েছে। এটা স্কুলের জমি তাই আবার ধান লাগানো হচ্ছে। বিদ্যালয় তৈরি কারী নুর ইসলাম বলেন সাজেদার জমি আছে সে রেজিষ্টি করে দেবে সে জন্য আমরা বিদ্যালয় তৈরি করছি। জমি পরে রেজিষ্ট্রি হবে। যাদবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার সালাউদ্দিন বলেন আমি বিষয়টি জানার পর দুই পক্ষ কে বলে ছিলাম কাগজপত্র যার আছে সেই জমি পাবে । একজন এ্যাডভোকেট নিয়ে বসে এর মিমাংসা করতে। আর যারা স্কুল তৈরি করছে তাদের এখন স্কুল তৈরি করতে নিষেধ করেছি। বলেছি আগে জোর করে জমি দখল করে স্কুল তৈরি করার দরকার নেই। আসলে এখানে দুইটি পক্ষ হয়ে গেছে যার কারণে এলাকায় অশান্তি বিরাজ করছে। কিন্তু এর দায় দায়িত্ব দল নেবে না। মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযোগটি আমলে নিয়ে আমার থানার এস আই জমির কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সে শুক্রবারও ঘটনা স্থলে গিয়ে নিষেধ করে এসেছে। এবং দুই পক্ষ কে ৩১ আগষ্ট থানায় ডাকা হয়েছে।