জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ শহর ও ৬টি উপজেলার মানুষ মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মশা যে কি পতঙ্গ তা সকলেরই জানা। রক্তপায়ী এ পতঙ্গে বিরক্ত হয়নি এমন মানুষ আছে বলে মনে হয় না। সব চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে মশা ম্যালেরিয়া, হলুদ জ্বর, ডেঙ্গু জ্বর, সহ নানা রোগের সংক্রামক। ঝিনাইদহ শহর ও উপজেলা গুলোতে মশার উৎপাত বেড়েই চলেছে। শহর ও বিশেষ করে সদর উপজেলা, হরিণাকুন্ডু, কালিগঞ্জ, কোটচাাঁদপুর, মহেশপুর শৈলকুপা উপজেলার মানুষ মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ । নেই মশা নিধনের কোন পদক্ষেপ। আর গ্রামের কথা তো বলাই যায়না সন্ধ্যা না হতেই মশার কাঁমড়ে চুলকাতে চুলকাতে সেখানে ঘাঁ হয়ে যাচ্ছে। গ্রামের অধিকাংশ জায়গাতে বাড়ির টিউবয়েলের পানি যেখানে জমে সেখানেই মশার উৎপাত বেশি ও যাতা জঙ্গলে মশার আনা গোনা বেশি দেখা যায়। ঝিনাইদহ শহরের উপশহরপাড়া, হামদহ, আরাপপুর, চাকলাপাড়া, কোর্টপাড়া, ব্যাপারিপাড়া সহ অধিকাংশ জায়গাতে রাস্তার পাশে সন্ধ্যার পর দাঁড়ালেই বোঝা যায় মশার কি যন্ত্রনা। মশা একটু নোংরা, ময়লা, আবর্জনা, ছোট খালে পানি বা ভেজা জায়গা পেলেই সেখানে ডিম পারে আর সে ডিম থেকেই তৈরি হচ্ছে হাজারো মশা। শহরে ও গ্রামে মশা নিধন করার জন্য কোম্পানি ওয়ালারা মেশিন তৈরি করেছে কিন্তু আর কত হাজার মশা নিধন করলে মশা শেষ হবে। ঝিনাইদহ শহর ও শৈলকুপা, হরিণাকুন্ডু, কালিগঞ্জ, কোটচাাঁদপুর, মহেশপুর উপজেলার বসবাস কারীরা জেলার উদ্ধোর্তন কর্মকর্তাদের কাছে মশা নিধন করার জোর আবেদন জানিয়েছে। মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ বিষয়ে শহরের ৫নং উপশহর পাড়া এলাকার কমিশনার মধু জানান, আমি বারংবার কর্তৃপক্ষকে বলার পরেও ব্যাবস্থা নেইন। আমি আবারো কর্তৃপক্ষকে জানাবো।