নিউজ ডেস্ক:
দেশের বাস্তবতা এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে ভর্তি ও টিউশন ফিসহ শিক্ষা ব্যয় একটি সীমার মধ্যে রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছরই ব্যয় বৃদ্ধির বাস্তবতার মধ্যে এই আহ্বান জানালেন শিক্ষামন্ত্রী। গত রবিবার রাজধানীর বসুন্ধরায় নর্থ সাউথ ইউনিভাসির্টির ২০তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিকাইল হেমনিথি উইনথার। অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আতিকুল ইসলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষা কমিশন আইন তৈরি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। উচ্চশিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংসদে এ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল আইন পাস হয়েছে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্থিতিশীল উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বহুমাত্রিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে শিক্ষার্থীদেরকে সম্পৃক্ত করার যথোপযুক্ত পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর থাকতে হবে।’
শিক্ষার্থীরা জঙ্গি কার্যক্রমে যাতে জড়িত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখারও তাগিদ দেন শিক্ষামন্ত্রী । তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য সুদূরপ্রসারী এবং দৃঢ়। ২০২১ সালের মধ্যে অর্থাৎ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে চাই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালে আমরা উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব সমাজে স্থান পেতে চাই। দারিদ্র্য দূরীকরণ এখনও আমাদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দারিদ্র দূরীকরণে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।’ তিনি বলেন, ‘দেশ যখন উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনি একদল স্বাধীনতাবিরোধী এ উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে ব্যাহত করার জন্য ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে এদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাস ও জঙ্গি কার্যক্রমের সাথে জড়িয়ে তাদের ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের কুমন্ত্রণায় প্ররোচিত হয়ে বেশকিছু তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে বিপথগামী হয়েছে।’
সমাবর্তনে ২৬৪২ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী এ সময় ভাল ফলাফল করা শিক্ষার্থীদের মাঝে পদক ও সনদ বিতরণ করেন।