এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি-
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে উপ-কারাগারটি শেখ রাসেল শিশু একাডেমি ও পুর্নবাসন কেন্দ্র স্থাপনের দাবি ২৭ বছরে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এক সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৯৮০ইং সালে থানা পদ্ধতি বাতিল করে উপজেলা পদ্ধতিতে উন্নিত করা হয়। থানা পদ্ধতি থেকে উপজেলা পদ্ধতিতে রূপান্তর করার সাথে সাথে দরিদ্র মানুষের দ্বার প্রান্তে সরাসরি বিচার ব্যবস্থা ও উন্নয়ন পৌছে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিস, উপজেলা মাজিষ্ট্রেট আদালত, উপজেলা মুনসেফ আদালত, বাসভবন, গেজেটেড কোয়াটার, ষ্টাফ কোয়াটার, ব্যাচেলর কোয়াটার, সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস সহ বিভিন্ন অফিস স্থাপন ও স্থাপনা নির্মান করা হয়।
বীরগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে সরকারী ৭ দশমিক ৫০ একর জমিতে উপ-কারাগার র্নিমান করা হয়। উপ-কারাগারের অফিস ভবন, সাব-জেলার কোয়াটার, পুরুষ হাজত ও মহিলা হাজত, পৃথক পৃথক টয়লেট, রান্নাঘর, বিদ্যুৎ সংযোগ ও সাপলাই পানির ব্যাবস্থা করা হয়।
১৯৯০ইং সালে তৎকালিন তত্বাবধায়ক সরকারের কাছে জাতীয় পাটির সরকার আনুষ্ঠিানিক ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা পরিবর্তনের পর উপজেলা পদ্ধতি বাতিল করে থানা পদ্ধতি পর্নবহাল করা হয়। উপজেলা আদালত সমুহ তুলে নেওয়া হয় একই সাথে উপকারগারের আসামীদের প্রত্যাহার করে জেলা কারাগারে সরিয়ে নেওয়া হয়। সেই থেকে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে কোটি কোটি টাকার রাষ্ট্রিয় সম্পদ পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বীরগঞ্জে উপ-কারাগরের অবকাঠামো বর্তমানে মাদক সেবন ও অসামাজিক কাজের নিরাপদ স্থানে পরিনত হয়েছে ।
সম্প্রতি উপ-কারাগার পরিদর্শন কালে দেখা যায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধিনস্থ কর্মচারী মোঃ অব্দুর রহমান কেয়ার টেকারের দায়িত্ব পালন করছেন। উপ-কারাগারের সাব-জেলারের কোয়াটার গুলোর জরার্জীন অবস্থা, সরকারী ৭ দশমিক ৫০ একর জমিতে উপ-কারাগারের অফিস ভবন, সাব-জেলারের কোয়াটার, পুরুষ হাজত ও মহিলা হাজত খানা, পৃথক পৃথক টয়লেট, রান্নাঘরের দরজা-জানালা গুলো দীর্ঘ দিন সংস্কার অভাবে অযতেœ অবহেলায় ভেঙ্গে খুলে পড়ছে। বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যাবস্থা ও সাপলাই পানির ব্যাবস্থা চালু রয়েছে।
উপ-কারাগারের কেয়ার টেকার মো: আব্দুর রহমান জানান দীর্ঘ দিন পরিত্যাক্ত থাকার কারনে ভূতুরে অবস্থার সৃষ্টি ও মাদক সেবনের নিরাপদ স্থান হিসেবে ব্যবহার য়ে আসচ্ছিল। আমি নিজস্ব অর্থ ব্যায়ে তা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে বৃদ্ধা মাকে সাথে নিয়ে রক্ষনা-বেক্ষন করছি। সংস্কার কাজে ব্যয়িত অর্থের হিসেব উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করে বিল প্রদান করেছি অদ্যাবদি আমাকে তা প্রদান করা হয়নি তিনি ব্যায়িত অর্থ প্রাপ্তির জন্য দাবি জানান। এলাকাবাসীর পরিচালনায় উপ-কারাগার ক্যাম্পাসে একটি জামে মসজিদ ও ২৫ জন এতিম সম্বলিত একটি এতিমখানার কার্যত্রম চলমান রয়েছে।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সারোয়ার মোর্শেদ আহাম্মদ জানান, উপ-কারাগার ক্যম্পাসে একটি বেকার যুবক ও যুব মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্র, কিশোর অপরাধ সংশোধন ও পুর্নবাসন কেন্দ্র অথবা শেখ রাসেল শিশু একাডেমি ও শিশু পুর্নবাসন কেন্দ্র, স্থাপনের জন্য প্রাথমিক ভাবে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের জন্য সমাজ কল্যান মন্ত্রণলয়ে প্রস্তাব প্রেরন করা হয়েছে।
গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যান মন্ত্রনালয় উপরোক্ত প্রস্তাবের আলোকে সরকারী বরাদ্দ প্রদান করা হলে সমাজ কল্যান অধিপ্তর উপ-কারগারটি নিয়ন্ত্রন সহ সরকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। এতে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ৯৯টি ওয়ার্ড ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড সহ মোট ১০৮টি ওয়ার্ডের হাজার হাজার শিশু কিশোর কারিগরি প্রশিক্ষন গ্রহণ করে দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তরিত করা হবে বলে আশা প্রকাশ করছি।
জতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ ও সুদৃষ্টিসহ পরিত্যাক্ত উপ-কারাগারটি শেখ রাসেল শিশু একাডেমি ও শিশু পূর্ণবাসন কেন্দ্র স্থাপন করার প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের জন্য জোর দাবী করা হয়েছে।