নিউজ ডেস্ক:
ফ্যাশন দুনিয়া, র্যাম্প, ক্যাট ওয়াক- শব্দগুলোর সঙ্গে যেন অবিচ্ছেদ্য ভাবেই জড়িয়ে গেছে স্লিপ অ্যান্ড ট্রিম শব্দটি। শুধু রোগা হলেই চলবে না, আধপেটা খেয়ে না খেয়ে, ‘কলার বোন’-এর হাড় বের করে, জিরো ফিগার হতেই হবে। তা না হলে আর কীসের মডেল?
কিন্তু প্রথাগত এই ধারণাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন তারা। মোটা তো কী হয়েছে? শরীরের গঠনের জন্য থমকে যায়নি তাদের স্বপ্ন। প্লাস সাইজেই অবলীলায় মাতিয়েছেন র্যাম্প।
কেটয়া জারকোভা : প্লাস সাইজ হলেও ফ্যাশন দুনিয়ায় যথেষ্ট জনপ্রিয় বেলারুশের ৩৪ বছর বয়সী এই মডেল। এই মুহূর্তে ‘ফরএভার ২১’-এর মতো বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ব্রান্ডের বিজ্ঞাপনের মুখপাত্র তিনি। নিজের ভারী চেহারা নিয়ে এতটুকুও সমস্যা নেই তার। বরং অস্বাস্থ্যকর সাইজ জিরো ফিগার চূড়ান্ত অপছন্দ কেটয়ার।
টেস হলিডে : ৩৬-২৮-৩৬-এর পারফেক্ট ফিগারের কনসেপ্টকে তুড়ি মেরে উড়িয়েছেন ইনিও। প্রথম যখন মডেলিংয়ে আসেন তখন শর্ট হাইট আর ভারী চেহারার জন্য অনেক কথা শুনতে হয়েছিল তাকে। কিন্তু তাতে মোটেই কর্ণপাত করেননি টেস। হালও ছাড়েননি। এখন তিনি নামকরা মডেল।
অ্যাশলে গ্রাহাম : প্লাস সাইজ লঁজারি মডেল হিসাবে বিখ্যাত এই অমেরিকান মডেল। অন্তর্বাসের বিজ্ঞাপনে সাইজ জিরো মডেলদের রাজত্বকে ভেঙে প্রথম নতুন পথে হেঁটেছিলেন অ্যাশলে।
ডেনিস বিডট : প্রথম প্লাস সাইজ মডেল হিসেবে সেলেনা উইলিয়ামস’ নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন শোতে র্যাম্পে হেঁটেছিলেন ডেনিস। তার মতে ভারী চেহারার সঙ্গে প্রকৃত সৌন্দর্যের কোনো বিরোধ নেই।
লুইস ও’রেইলি : অস্বাস্থ্যকরভাবে মেয়েদের রোগা হওয়ার এই ট্রেন্ড আইন করে বন্ধ করা উচিত বলে মনে করেন এই আইরিশ প্লাস সাইজ মডেল। নিজের মোটা চেহারা নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী লুইস।
নাদিয়া আবুলহোসেন : ইন্সটাগ্রামে অনেকে তাকে নিউ কিম কার্দাশিয়ান বলতে পছন্দ করেন। ‘বোহো’র মতো একাধিক আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ব্রান্ডের বিজ্ঞাপনী মুখ নাদিয়া। নিজের ফ্যাশন, আত্মবিশ্বাস আর প্রতিভায় প্লাস সাইজ মডেল হিসেবে সারাবিশ্বে জনপ্রিয় তিনি।
রবিন লাওলে : প্লাস সাইজ ফ্যাশনে এই অস্ট্রেলিয়ান মডেল এখন যথেষ্ট পরিচিত মুখ। ‘ভোগ’, ‘জিকিউ’, ‘ইলে ফ্রান্স’-এর মতো আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ম্যাগাজিনের নাম করা মডেল তিনি। তবে শুধু মডেলিংই নয়, পোশাক ডিজাইন থেকে শুরু করে, ফটোগ্রাফি, লেখালেখি- সবটাই করেন রবিন।
কেট আপটন : কার্ভি ফ্যাশনে বিশ্বাস করেন না এই আমেরিকান মডেল। ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি লম্বা ২৪ বছরের কেটের ওজন ১৪০ পাউন্ড। তবে প্লাস সাইজ মডেলের চেয়ে ফুল ফিগারড সেক্স আইকন হিসেবেই বেশি জনপ্রিয় তিনি।