নিউজ ডেস্ক:
বাসা বাড়ির জন্য বিদ্যুৎ চুরি করলে ৩ বছর এবং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ চুরি করলে ৫ বছরের শাস্তির বিধান রেখে বিদ্যুৎ আইন ২০১৭ বিল সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সংসদের ১৮তম অধিবেশনের তৃতীয় দিনে বিলটি উত্থাপন করা হয়।
পরে বিলটি আরো পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে প্রেরণ করা হয়। বিলটি উত্থাপনের আগে জাতীয় পার্টির এমপি ফখরুল ইমাম বিলটির কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে বিলটিকে কালাকানুন হিসেবে অবহিত করেন। তিনি বলেন, বিলে দেশের মালিক জনগণকে বিদ্যুৎ চুরির দায়ে কারদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু একই ঘটনায় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারীদের জন্য শুধু অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এটা আইনের চোখে বৈষম্যমূলক বৈষম্যমূলক। এছাড়া বিলে অননুমোদিত বিদ্যুৎ ব্যবহারের তল্লাশী চালাতে সহকারী প্রকৌশলীকে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ ও তল্লাশী চালানোর ক্ষমতা প্রদানকে তিনি কালাকানুন হিসেবে উল্লেখ করেন।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখার স্বার্থে বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংস্কার সাধন এবং মানসম্মত বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করার জন্য দি ইলেক্ট্রিসিটি এ্যাক্ট ১৯১০ রহিত করে, তা সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে নতুন আইন আকারে বাংলা ভাষায় বিদ্যুৎ আইন ২০১৭ শীর্ষক বিলটি প্রণীত হয়েছে।
বিলের অপরাধ ও দণ্ড অধ্যায়ে বলা হয়েছে, কোন বাসা বাড়িতে বা অন্য কোন স্থানে ব্যবহারের জন্য বিদ্যুত চুরি করলে তিন বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দণ্ডিত হবেন। এছাড়া কোন শিল্প ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বিদ্যুত চুরি করলে ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বিধান রাখা হয়েছে।