নিউজ ডেস্ক:
কক্সবাজারের টেকনাফে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাতজনের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তাদের আসামি করে ডিসেম্বরের মধ্যেই অভিযোগপত্র দাখিলের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে সংস্থাটি। ফলে এই অপরাধে জড়িত সেই সাত পুলিশ বিচারের আওতায় আসছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.মনিরুজ্জামান বলেন, তদন্ত প্রায় শেষ। চলতি মাসেই প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ মাসে সম্ভব না হলে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদনটি দাখিল করা হবে।
ব্যবসায়ী গফুরকে কক্সবাজার শহর থেকে আটকের পর টেকনাফে নিয়ে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই টাকা নিয়ে ফেরার পথে গত ২৫ অক্টোবর ভোরে সেনাচৌকিতে তল্লাশির মুখে পড়েন ডিবি পুলিশের সদস্যরা। গাড়িতে ডিবির সাত সদস্য ছিলেন। সেনা সদস্যরা ডিবির ছয় সদস্যকে আটক করেন। এসময় পালিয়ে যেতে সক্ষম হওয়া একজনকে পরে আটক করে পুলিশ।
আটক পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই মনিরুজ্জামান, গোলাম মোস্তফা ও আবুল কালাম আজাদ, এএসআই ফিরোজ আহমেদ, আলাউদ্দিন ও নূরুজ্জামান এবং কনস্টেবল মোস্তফা।
পরে গফুর ওই সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সূত্রমতে, আটকের পরই তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন জমা দেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফরুজুল হক টুটুল। এরপর সাতজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া ডিবির সাত সদস্য এখনও কারাগারে আছেন বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন