বেসরকারি সাতটি সংস্থার উদ্যোগে স্কারবোরোর সেন্টেনিয়াল রিক্রিয়েশন সেন্টারে টরন্টোয় অনুষ্ঠিত হলো বৈচিত্রের উদযাপন।
এ আয়োজনে কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার প্রায় ২০০ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মুখরোচক খাবারের পরিবেশনা অতিথিদের মুগ্ধ করে। আয়োজক সংস্থাগুলো হলো বিসিএস, বিসিসিএস, বিআইইএস, সিসিবিএস, সিসিআইকে, পিএসইএস এবং এসএডব্লিউআইএস।
অনুষ্ঠানটি কানাডিয়ান সেন্টারের মুশতাক আহমেদ এবং সুষমা সরাফের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ ও কানাডার জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয়। সাতটি সংগঠনের প্রতিনিধিগণ নিজ নিজ সংস্থার পরিচিতি তুলে ধরেন। আলোচনা পর্বের সঞ্চালক ছিলেন পেইসের নির্বাহী পরিচালক ইমামুল হক। তিনি অংশগ্রহণকারীদের ৮টি দলে বিভক্ত করে নিজেদের বিভাগের গর্ব করার মতো বিষয়গুলো তুলে ধরার আহ্বান জানান, যা উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করে।
এরপর শুরু হয় মূল আলোচনাপর্ব, যেখানে মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন কানাডার ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির প্রফেসর আহমেদ শফিকুল হক, লরেনটিয়ান ইউনিভার্সিটির প্রফেসর সাদেকুল ইসলাম, এবং টেক্সাস এ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির প্রফেসর মেহনাজ মোমেন।
প্রফেসর শফিকুল হক তাঁর বক্তব্যে বলেন, বৈচিত্রের মাঝে সম্মান, সাম্য এবং সহানুভূতি গড়ে তুলতে পারলে আমরা একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো।
প্রফেসর সাদেকুল ইসলাম বাংলাদেশি প্রবাসীদের বিশ্বে কীভাবে সমন্বয়মূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রফেসর মেহনাজ মোমেন পশ্চিমা দেশগুলিতে প্রজন্মগত দ্বন্দ্ব এবং ধর্মীয় অস্বস্তির প্রসঙ্গে প্রযুক্তির উপেক্ষিত ভূমিকার উপর আলোকপাত করেন।
উন্মুক্ত আলোচনায় আমন্ত্রিত অতিথিরা মুখ্য আলোচকদের উদ্দেশে বেশ কয়েকটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন তুলে ধরেন। এরপর, বিসিএস-এর তরুণরা এন্টি-রেসিজম বিষয়ক একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন, এবং এসএডব্লিউআইএস (সরো) গৃহায়ন, চাইল্ডকেয়ার ও ন্যায্য মজুরিসহ বিভিন্ন সামাজিক দাবি তুলে ধরেন।
শেষ পর্বে নাট্য ব্যক্তিত্ব অরুনা হায়দারের টিম আকর্ষণীয় দুটি নাটিকা প্রদর্শন করে, যা দর্শকদের বাড়তি আনন্দ দেয়। অনুষ্ঠানের শেষে কানাডিয়ান সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ইমাম উদ্দিন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে আপ্যায়িত করা হয়।
উল্লেখ্য, এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে ঐক্য বজায় রাখা, বৈচিত্রের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন, এবং কমিউনিটির উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে একসাথে কাজ করার প্রেরণা জাগানো। ভবিষ্যতেও আয়োজক সংস্থাগুলো এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের আশা প্রকাশ করে।