নিউজ ডেস্ক: ভারতের রাজস্থানের জয়পুরে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে পাপড় বিক্রি করতে দেখা গেল বলিউড সুপারস্টার হৃত্বিক রোশনকে। তবে এরমধ্যে অন্য কোনো কারণ নেই, ‘সুপার-৩০’ ছবির শ্যুটিং চলছে। সেই শ্যুটিংয়ের অংশ হিসেবেই পাপড় বিক্রি করলেন হৃত্বিক।
চরিত্রের মধ্যে এতটাই ঢুকে গিয়েছিলেন হৃত্বিক এবং মেকআপ ছিল এতটাই সাধারণ যে, পথচলতি সাধারণ মানুষ কেউ সেভাবে তাকে চিনতেই পারেনি।
তবে এর আগেও নিজের ছবির চরিত্রের সঙ্গে একেবারে একান্ত ভাবে মিশে যেতে দেখা গিয়েছে হৃত্বিককে। ‘কই মিল গয়া’ ছবিতে এক অটিসমে আক্রান্ত বাচ্চার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন হৃত্বিক। ‘কাবিল’-এ তাকে অন্ধ মানুষের চরিত্রে দেখা গিয়েছে।
মাত্র দিন কয়েক আগেই ‘সুপার-৩০’ ছবির ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে আসে। ছবিতে গণিতবিদ আনন্দ কুমারের চরিত্রে অভিনয় করছেন হৃত্বিক। সেখানে হৃত্বিকের চেহারা দেখে, সকল দর্শকই চমকে গিয়েছিলেন। এবার এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে।
বর্তমানে যে ছবিটি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে, সেখানে ৪৪ বছর বয়সি অভিনেতা একটি পুরনো, নোঙরা জামা পরে পাপড় বিক্রি করছেন। গায়ে গামছা দেওয়া এবং গালে দাড়িও রয়েছে হৃত্বিকের। গত ২২ জানুয়ারি, এই ছবির শ্যুটিং মুম্বাইয়ে শুরু হয়। তারপর বারাণসীতে ছবির একপ্রস্থ শ্যুট হয়ে যায়। ছবিটি আগামী বছর জানুয়ারির ২৬ তারিখ পর্দায় মুক্তি পাবে।
মেয়েরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা হয়, গুলি করা হয়, জীবন নষ্ট হয়ে যায়- হৃত্বিক প্রসঙ্গে বিস্ফোরক কঙ্গনা
গত আগস্টে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে এক সাক্ষাত্কারে হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে তার সংঘাত নিয়ে মুখ খোলেন কঙ্গনা রানাউত। সেই সাক্ষাত্কারের কিছু ক্লিপিংস সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তারপর ফের একবার সেই সংঘাত প্রসঙ্গে খোলাখুলি মুখ খুললেন বলি অভিনেত্রী।
কঙ্গনার দাবি, এই সম্পর্কে যা ঘটেছিল, সেবিষয়ে তার আরও অনেক কিছু বলা বাকি। হৃত্বিকের সঙ্গে ঝামেলার সময় অনেকেই বলেন, ক্ষমা না চাইলে কঙ্গনাকে জেলের পিছনেও দিন কাটাতে হতে পারে।
এমনকি নিজের আশঙ্কা প্রসঙ্গে সদ্য মালায়লাম অভিনেত্রীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথাও উল্লেখ করতে ভোলেননি কঙ্গনা। ওই অভিনেত্রীকে ধর্ষণ করিয়ে, সেই ভিডিও ভাইরাল পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে। কারণ মালায়লাম অভিনেত্রী অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রীর কাছে তার কীর্তিকলাপ সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছিলেন। তবে আজ কোনও কিছুকেই ভয় পান না কঙ্গনা।
সংঘাতের সময় অভিনেত্রীর ইমেইলের পাসওয়ার্ড দিয়ে মেইল খুলে হৃত্বিক নিজেই নিজেকে একাধিক বিতর্কিত মেইল করেছিল বলে দাবি করেছেন কঙ্গনা। কঙ্গনার দাবি, হৃত্বিক সারা রাত তার মেইলে লগ ইন থাকতেন। শেষপর্যন্ত কোনো পথ না পেয়ে, নিজের মেইল আইডিটি শাটডাউন করে দেন কঙ্গনা। তবে কয়েকটি বিতর্কিত ইমেইলের মধ্যে কঙ্গনা নিউইয়র্ক থেকে নিজেও বেশ কয়েকটি মেইল করেছিলেন বলে জানা গেছে।
আর একটি বিষয় কঙ্গনা আজও অনড়, যে তিনি কোনোদিন কোনো অবস্থাতেই হৃত্বিকের কাছে ক্ষমা চাইবেন না।
প্রসঙ্গত, সেসময় হৃত্বিক ও তার বাবা রাকেশ রোশন এমন অনেক কিছু দাবি করেছিলেন। সেসব কিছু তারা প্রমাণ করতে পারেননি। কিন্তু এর ফলে কঙ্গনার পেশাদার ও ব্যক্তিগত জীবন ধাক্কা খেয়েছিল বলে দাবি করেন কঙ্গনা। অভিনেত্রীর দাবি, তাকে অপমান করে, হৃত্বিক আসলে নিজেকেই বোকা বানিয়েছেন।