নিউজ ডেস্ক:
‘চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে’— বাউল গানের এই পঙক্তিটির মানে খুব সহজ নয়। ঘভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য রয়েছে এই পঙক্তিটির। সহজ ভাবে যদি কেউ চাঁদের গায়ে চাঁদকে কল্পনা করেন, তা হলে তাঁকে পাগল ঠাওরানো ছাড়া উপায় থাকে না।
কিন্তু চাঁদের গায়ে আর এক চাঁদকে নিয়েই এই মুহূর্তে ভাবিত বিজ্ঞানীরা। ২০১৪ সালে এক ৪ বছরেরে শিশু তার মা’কে প্রশ্ন করেছিল, চাঁদেরও কি চাঁদ থাকে। সেই সময় থেকেই মা খুঁজতে শুরু করেন উত্তর। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘গিজমোডো’-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, মাহাকাশচারী জুনা কোলমিয়ের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার কার্নেগি অবজারভেটরির সঙ্গে কর্মসূত্রে যুক্ত। ফ্রান্সের বোর্দো বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন রেমন্ডের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি এক গবেষণাপত্রে প্রকাশ করেছেন, তাতে তাঁরা দেখিয়েছেন যে, সৌরজগতের উপগ্রহগুলি আজ যেমন দেখতে, তেমনটা আগে ছিল না। বিশেষ করে পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদের নিজস্ব চাঁদ ছিল এক কালে। অর্থাৎ, পৃথিবীর চারপাশে যেমন চাঁদ পাক খায়, তেমন চাঁদের চারপাশেও সম্ভবত পাক খেত তার নিজস্ব চাঁদ, যাকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় ‘সাবমুন’ বলা হয়। কিন্তু মজা করে তাঁরা একে বলছেন ‘মুনমুন’।