বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে লক্ষ্মীপুরের তুলনামূলক উঁচু এলাকা থেকে। আর তাতেই ভয়াবহ ক্ষতচিহ্ন ভেসে উঠছে প্রত্যন্ত জনপদে। বিশেষ করে নদী-খালের পাশ্ববর্তী এলাকার মানুষ পড়েছেন বেশি বিপাকে। জেলাজুড়ে এরইমধ্যে ১৮ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিপর্যস্ত পরিবারের চাওয়া কার্যকর সহায়তা।
সরেজমিনে লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শেষ সম্বল হারানোর ক্ষত চোখের জল হয়ে নেমেছে রোকেয়া আক্তারের। ঋণের টাকা দিয়ে করা ঘর ভেঙেছে বানের জলে। খালের শ্রোতে পাল্লা দিয়ে বিলীন হচ্ছে ভিটেমাটি। শুন্য ভিটেই বসে তাই ভবিষ্যত সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা।
বানের জল থেকে রক্ষা পাওয়া আসবাবপত্র নিয়ে মাহিনুর বেগমের অন্যত্র যাত্রা। স্ক্র্যাচে ভর করে মাহিনুরের স্বামীও সেই পথ ধরেছেন। প্রতিবন্ধী স্বামীকে নিয়ে মাহিনুরের জীবনযুদ্ধ কঠিন করেছে এবারের বন্যা। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে প্রত্যাশা, সহায়তার।
লক্ষ্মীপুর সদরের ওয়াপদা খালের পাশের এমন অনেক পরিবার এখন ভাসমান। আশ্রয় নিয়েছেন কিছুটা উঁচু জায়গায়। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলাজুড়ে ১৮ হাজার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এরইমধ্যে।
বন্যার জলে বিধ্বস্ত অবশিষ্টাংশ নিয়ে নতুন ঘর বাধার চেষ্টা বানভাসিদের। হয়তো কিছুদিন বাদে অন্য কোথাও থিতু হবেন সংগ্রামী এসব মানুষ। কিন্তু হৃদয়ে যে তীব্র তীব্র ক্ষত, তা শুকাবে কতোদিনে!