প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস বলেছেন, ফ্যাসিবাদী সরকার এতদিন জনগণের যেসব অর্থ পাচার করেছে তা এখন দেশে গোলযোগ সৃষ্টিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা সাম্প্রদায়িক শক্তি প্রয়োগ করে জাতিকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে, একের প্রতি অন্যের বিষ উগরে দিতে চাচ্ছে, তাদের হীন ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সকলকে গণঅভ্যুত্থানের মত জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে কিন্তু কেউ বাধা দেয়নি। তারা বিশাল বিশাল প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঋণের টাকায় যা শ্বেতপত্র উন্নয়ন কমিটি তুলে ধরেছে তাদের প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে নির্দিষ্ট কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতে এমন অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছিল বিগত সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকার চলে যাবার পর আমরা এক বিপর্যস্ত অর্থনীতি পেয়েছি। আমাদের বৈদেশিক রিজার্ভ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে আমাদের বৈদিশিক রিজার্ভ রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ১২ মিলিয়ন ডলার যা আগের মাসের তুলনায় ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারে পৌছেছে। এভাবে আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাঙ্ক্ষিত সফল্য আমাদের নেই স্বীকার করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করছি। সরবরাহ বাড়িয়ে, আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে মধ্যসত্বভোগিদের দৌরাত্ম কমাতে চেষ্টা করেছি। পরিবহনখাতে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে এখনো সমর্থ হইনি, তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী রমজানে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। বাজার সিন্ডিকেট ভঙ্গ করতে বিকল্প কৃষিবাজার তৈরির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এর আগে ভোরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহিদদের শ্রদ্ধা জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। দিবসটি উপলক্ষে বাণীও দিয়েছেন তিনি।