মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ডোনাল্ড লুর অবস্থান সম্পর্কে আপনারা (গণমাধ্যম) কী ভেবেছিলেন? আমরা দেখেছি তারা (যুক্তরাষ্ট্র) একটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছে। এটা এখনো অব্যাহত রেখেছে তারা। বাংলাদেশে আপনারা (গণমাধ্যম) যা বলেননি, তাদের হিউম্যান রাইটস রিপোর্টে এর চেয়ে অনেক বেশি লিখেছে। এটাতে প্রমাণিত হয়, তারা এতটুকুও খুশি না বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে।’
যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে চায় উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সামরিক শাসকদের সঙ্গেও তারা কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখতে চায়। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতেও তারা তাদের দেশের প্রয়োজনে সেটা মনে করছে। কিন্তু তারা বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে সেটা করছে না। আওয়ামী লীগ সরকার একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করে দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধবংস করেছে। শাসকগোষ্ঠী জনগণকে সারাক্ষণ প্রতারণা করছে, মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। তথ্য আনতে সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। সবখানে একই অবস্থা। এরা মিথ্যার ওপরে পুরোপুরিভাবে টিকে আছে। মিথ্যার ওপরে কখনো টিকে থাকা যায় না।’
সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আন্দোলনের কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
এর আগে, বিকেল সাড়ে ৫টায় গণফোরাম ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক হয়। বৈঠকে গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, ফজলুল হক সরকার এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বাবুল সরদার চাখারি, পারভীন নাসের খান ভাসানী প্রমুখ অংশ নেন।
পরে সাড়ে ৭টায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। এতে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জেএসডির শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জনসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দুই বৈঠকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু অংশ নেন।