ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা যখন চরমে, তখন ইরানের সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করতে যাচ্ছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) মিনস্কে ইউরেশীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ফাঁকে এক টিভি সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
ল্যাভরভ বলেন, এই চুক্তি দুই দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রসহ আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার জন্য আমাদের পক্ষগুলোর প্রতিশ্রুতির রূপরেখা প্রকাশ করবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই দেশের মধ্যে এই ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্ক পশ্চিমাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে।
সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে সুসংহত কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তিটি শিগগিরই চূড়ান্ত হবে। এই চুক্তি রাশিয়া-ইরান সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে। চুক্তিটি সই করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান মস্কো সফর করবেন বলেও জানান ল্যাভরভ। বিশ্লেষকরা বলছেন, তখনই চুক্তিটি সম্পন্ন হতে পারে।
গত ২৩ অক্টোবর কাজানে ব্রিকস সম্মেলন চলাকালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক বৈঠকে ঘোষণা দেন, শিগগিরই দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদিত হবে।
রাশিয়ায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত কাজেম জালালি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইরানি প্রেসিডেন্টের রাশিয়ায় পরবর্তী সফরের সময় চুক্তির নথিতে সই হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার হাজার হাজার সেনা পাঠানো হয়েছে বলে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে গত সপ্তাহে রাশিয়ার আইনপ্রণেতারা উত্তর কোরিয়ার সাথে কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি অনুমোদন করেছেন। ইরানের সঙ্গে চুক্তিটিও এই চুক্তির অনুরূপ হতে পারে। এর আগেও ইরান ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়াকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে বলে জানা যায়।