নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানায় আগুন লেগে ছয় তলা ভবন পুড়ে গেছে। ৩২ ঘণ্টা পর সেই ভবনের আগুন নিভেছে। তবে সেদিন ভবনের ভেতরে অনেকে আটকা পড়েছিল দাবি করে ১৭৪ জন নিখোঁজের তালিকা তালিকা করে ফায়ার সার্ভিস। পরে তালিকার বিষয়টি অস্বীকার করে তারা।
এদিকে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুর থেকে ফের নিখোঁজের তালিকা করার কাজ শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।
নিখোঁজের তালিকা করা শিক্ষার্থী মাহিমা মিম লিপা বলেন, গতকাল নিখোঁজের তালিকা করে ফায়ার সার্ভিস। তবে আজ সকালে এখানে আসার পর তারা কেউ সেই তালিকার কথা স্বীকার করছে না। এ কারণেই সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য আমরা তালিকা করছি। ছবি ও ভোটার আইডি কার্ডসহ তালিকা করছি। এই তালিকার একটা কপি রূপগঞ্জ থানায় দেওয়া হবে আর একটা কপি আমরা রাখবো। এখন পর্যন্ত ১২১ জনের তালিকা করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, নিখোঁজের কোনও সংখ্যা এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই। তবে নিখোঁজের অনেক স্বজন আমার কাছে এসে নিখোঁজের কথা জানিয়েছে। যেহেতু এখানে কেমিক্যাল ছিল, সুতরাং আগুন নির্বাপণ পুরোপুরি শেষ হলে তদন্ত করে বলা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আমি কন্ট্রোল রুম খুলতে বলেছি। কিন্তু মানুষের যেই চাপ, এটা একটু কন্ট্রোলে আসলে তালিকা হবে।
নিখোঁজ তালিকার প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের কাজ আগুন নেভানো এবং কেউ হতাহত হলে তাকে উদ্ধার করা। তবে নিখোঁজের তালিকার বিষয়ে জানা নেই। যেই কর্মকর্তা এই তালিকা করেছে তিনি বলতে পারবেন।
এদিকে নিখোঁজের দাবিতে শত শত মানুষ কারখানার গেটের সামনে ভিড় করেছে। ছবি ও ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে তালিকায় নাম লেখাচ্ছে।
এর আগে রবিবার রাত সাড়ে ১০টায় রূপগঞ্জে রূপসীতে গাজী টায়ার কারখানায় আগুন লাগে। পরে দীর্ঘ ২১ ঘণ্টা পর সোমবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মঙ্গলবার ভোর ৫টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও ধোঁয়া বের হচ্ছে।