নিউজ ডেস্ক:
নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘নাগরিক সংবর্ধনা’ দিতে ৫৫ ফুট দীর্ঘ নৌকার ওপর মঞ্চ তৈরী করেছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। এদিন মঞ্চের পেছনের স্ক্রীনে ৬ দফার প্রতীকসহ টানা তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটানো হবে।
১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্বখ্যাত টাইমস স্কোয়ারে ‘ম্যারিয়ট মারকুইজ’ হোটেলের বিশাল হলরুমে এ সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্রের ডজনখানেক অঙ্গরাজ্য থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থক ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত প্রবাসীরা অংশ নেবেন।
অনুষ্ঠানটি শুরু হবে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের অবিস্মরণীয় গানের মধ্য দিয়ে এবং তা পরিবেশন করবেন ৩ কন্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়, ফকির আলমগীর এবং শহীদ হাসান।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। ‘নাগরিক সংবর্ধনা’ সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীর আইটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও বক্তব্য রাখবেন বলে জানান সিদ্দিকুর রহমান।
জ্যাকসন হাইটসে পালকি পার্টি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলন থেকে আরো জানানো হয়, স্থানীয় সময় ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার অপরাহ্ন সোয়া ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেএফকে এয়ারপোর্টে অবতরণের পর হাজারো প্রবাসী তাকে সাদর অভ্যর্থনা জানাবে। এ ব্যাপারে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন এবং এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের নজরেও দেয়া হয়েছে সামগ্রিক পরিস্থিতির তথ্য।
এসব উপস্থাপনের সময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান আরো বলেন, ‘ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, শেখ হাসিনা হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বিশ্ব শান্তি মডেলের প্রণেতা এবং সর্বশেষ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদানের মধ্য দিয়ে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ খেতাব প্রাপ্ত রাষ্ট্রনায়ক, তাই তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদানের নামে যদি কেউ অশালীন আচরণ করতে চায়, তাহলে মুজিব আদর্শের সৈনিকেরা তার দাতভাঙ্গা জবাব দেবে। প্রচলিত রীতি অনুযায়ীই এহেন অগণতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ’
জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে টানা নবমবারের মত নিউইয়র্কে আসছেন শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে আওয়ামী পরিবারের পক্ষ থেকে গৃহীত নানা কর্মসূচির আলোকে ড. সিদ্দিক আরো জানান, ‘২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে শেখ হাসিনা ভাষণদানের সময় বাইরে ব্যাপক সমাবেশ ঘটিয়ে বাংলাদেশে চলমান উন্নয়ন-অগ্রগতির সমর্থনে স্লোগান দেওয়া হবে। এবং মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান কার্যক্রমের সাথে আন্তর্জাতিক মহলকে পরিচিত করার প্রয়াস চালানো হবে। এ ব্যাপার বিভিন্ন প্রকাশনা বিতরণ করা হবে সমাবেশ থেকে। ’
ড. সিদ্দিক জানান, ‘২২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক থেকে ভার্জিনিয়ায় পুত্র, পুত্রবধূ, নাতীদের সাথে পারিবারিক সময় কাটাবেন। সে সময় আমরা চেষ্টা করবো সাংগঠনিক ও সামনের বছরের জাতীয় নির্বাচনে প্রবাস থেকে কীভাবে সহায়তা দিতে পারি, তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনার। ’
২৯ সেপ্টেম্বর রাতে শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করবেন বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে। সংবাদ সম্মেলনে মিডিয়ার আন্তরিক সহায়তা কামনা করা হয় প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী পরিবারের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নিজাম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আইরিন পারভিন, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী এবং সেক্রেটারি ইমদাদ চৌধুরী, স্টেট আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি শাহীন আজমল, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান সর্দার, বাংলাদেশী আমেরিকান ডেমক্র্যাটিক লীগের সভাপতি খোরশেদ খন্দকার, যুবলীগ, মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরাও ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে।