নিউজ ডেস্ক:
মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্বে সঠিক পথেই রয়েছে। অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক চেতনায় এই এগিয়ে চলাকে আরো পরিপূষ্ট করতে রাজনৈতিক কমিটমেন্টের পাশাপাশি দরকার সাংস্কৃতিক জাগরণের। সে লক্ষ্যেই কাজ করছে সেক্টর কমান্ডার ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ’৭১’।
এসব কথা বলেছেন নিউইয়র্কে ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আজ কোন পথে’ শীর্ষক এক সেমিনারের মূল বক্তা সেক্টর কমান্ডার ফোরামের মহাসচিব এবং মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব।
গত শনিবার রাতে এই ফোরামের যুক্তরাষ্ট্র শাখার নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ উপলক্ষে নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে পালকি পার্টি সেন্টারের এই সেমিনারে ‘গেস্ট অব অনর’ ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন-মোমেন। সেমিনারের নিজ নিজ মতামত পেশ করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা-বিজ্ঞানী এবং নিউজার্সির প্লেইন্সবরো সিটি কাউন্সিলের নির্বাচিত প্রতিনিধি ড. নূরনব্বী, খ্যাতনামা এটর্নী অশোক কর্মকার এবং লেখক-কবি ফকির ইলিয়াস।
ফোরামের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি রাশেদ আহমেদের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী সদস্য মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার ও আশরাফুল হাসান বুলবুলের সঞ্চালনায় এ সময় মঞ্চে উপবেশন করেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল শামীম আহসান, প্রবীন সাংবাদিক সৈয়দ মুহম্মদ উল্লাহ এবং ফোরামের সেক্রেটারি রেজাউল বারি।
দুই কন্ঠযোদ্ধা রথীনন্দ্রনাথ রায় এবং শহীদ হাসানের নেতৃত্বে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু এ সেমিনারে প্রবাসের সর্বস্তরে প্রতিনিধিত্বকারি ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও ডজন দুয়েক মুক্তিযোদ্ধাও অংশ নেন।
শুরুতে সেক্টর কমান্ডার ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবীবের নেতৃত্বে নবনির্বাচিত কর্মকর্তারা শপথ গ্রহণ করেন। এ সময় মুষ্ঠিবদ্ধ হাত সামনে রেখে সকলে সমস্বরে উচ্চারণ করেন,‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সর্বশক্তি নিয়োগ করবো। আমরা আরো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হচ্ছি যে, বাংলাদেশের মাটিতে একাত্তরের সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলমত নির্বিশেষে আমাদের সর্বাত্মক সংগ্রাম অব্যাহত রাখবো। জয় বাংলা। ’
নতুন কমিটির কর্মকর্তারা হলেন : সভাপতি-রাশেদ আহমেদ, সহ-সভাপতি হারুন ভূইয়া, এম এ বাশার এবং রথীন্দ্রনাথ রায়, সাধারণ সম্পাদক-রেজাউল বারি, যুগ্ম সম্পাদক-মো. আব্দুল কাদের মিয়া এবং এম সোলায়মান আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক-নুরল আলম বাবু, কোষাধ্যক্ষ-দেবাশীস দাস বব, দপ্তর সম্পাদক-লিয়াকত আলী, প্রচার সম্পাদক-শুভ রায়, আইন সম্পাদক রফিক আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তানভির হাবীব, সাংস্কৃতিক সম্পাদক-শহীদ হাসান, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক-জাফরউল্লাহ, নারী বিষয়ক সম্পাদক-সবিতা দাস, যুব সম্পাদক-ফাহাদ সোলায়মান। নির্বাহী সদস্যরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক লাবলু আনসার, মুক্তিযোদ্ধা হারুন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম, আশরাফ আলী খান লিটন, মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক, কামরুল ইসলাম, নান্টু মিয়া এবং সবনম মেহের প্রিয়া।
বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের ফার্স্টসেক্রেটারি নূরইলাহি মিনা, সাবেক প্রেস মিনিস্টার বিজন রাল দেব, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ফাহিম রেজা নূর, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সেক্রেটারি শিতাংশু গুহ, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন সাহা, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সেক্রেটারি আবু তালেব চৌধুরী, নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি শাহীন আজমল, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের আহবায়ক তারেকুল হায়দার চৌধুরী, নারী নেত্রী মিসেস গোলাপ, শাহানারা রহমান, মমতাজ শাহানা প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জাগানিয়া সঙ্গীতে আরো অংশ নেন শাহ মাহবুব, চন্দ্রা রায় এবং তপন মোদক।