নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌর এলাকায় নান্দাইল বাজারে ১৯৫৭সনের একটি ভূয়া দলিল রেজিষ্টি দেখিয়ে আড়াই শতাংশ ভূমি যার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা তা জোর পূর্বক দখলে নেওয়ার এক গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৯৫৭সনে নান্দাইল এস.আর অফিসের দলিল নং ৯৩২০ বাতিল দাবী করে নান্দাইল সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে আচারগাঁও (দিঘিরপাড়া) গ্রামের পিতামৃত আশরাফ উদ্দিন খানের পুত্র মোঃ নজরুল ইসলাম খান ৭০/২০১৮ অন্য প্রকার মামলা দায়ের করেছেন। মামলর বিবাদী মোঃ সাইফ উদ্দিন খান, মোঃ এরশাদ উদ্দিন খান, মোঃ আনোয়ার উদ্দিন খান ১৯৭১সনে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় নান্দাইল এস.আর অফিস পুড়ে যাওয়ায় সুযোগ নিয়ে নান্দাইল বাজারের এই মূল্যবান জায়গার উপর ভূয়া দলিল সৃজন করেছে। মামলার বাদী মোঃ নজরুল ইসলাম খানের পিতা বিএ ডিসিতে কর্মরত মোঃ আশরাফ উদ্দিন খান (উজির মিয়া) ১৯৮০সনের ৫ই জানুয়ারী আচারগাঁও গ্রাম থেকে তার চাকুরীর কর্মস্থল ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়র পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় নানা স্থানে খোঁজাখোঁজির পরেও আজ পর্যন্ত তার অবস্থান জীবিত না মৃত এবিষয়ে তার পরিবারের লোকজন এবং এলাকা বাসী কিছুই অবগত নয়। এলাকার বয়স্ক ও মুরুব্বীরা জানান মোঃ আশরাফ উদ্দিন খান হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যায়। তার কোন মৃত্যু সংবাদ এলাকাবাসী পায়নি এবং আচারগাঁও গ্রামে তার কোন কবর পর্যন্ত নেই। অথচ বিবাদী পক্ষ তাদের আপীল আবেদনে ১৯৮৩ সনে মোঃ আশরাফ উদ্দিন খান মারা গিয়েছেন বলে ভূল তথ্য আদালতে দাখিল করেছেন। স্থানীয় তদন্ত কালে এলাকার ২০/২৫জন মুরুব্বী যাদের বয়স ৬০ থেকে ৮০/৯০ বৎসর সকলেই জানিয়েছেন মোঃ আশরাফ উদ্দিন খান ১৯৮০সন থেকে আজ পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। তার কোন কবর আচারগাঁও গ্রামে নেই। অনুসন্ধানে জানাযায় ১৯৫৭সনে দলিল গৃহিতা দাবী দার মোঃ ছাইফ উদ্দিন খান এর সয়স ২৪বৎসর, মোঃ আর্শাদ উদ্দিন খানের বয়স ১৩বৎসর এবং মোঃ আনোয়ার উদ্দিন খানের বয়স ৭বৎসর “ভোটার আইডি কার্ডের জম্ম তারিখ থেকে তাদের বয়স জানা গেছে”। মামলার বাদী মোঃ নজরুল ইসলাম খান জানান, ৭ ও ১৩ বছরের না বালক কোন অবস্থাতেই জমি ক্রয় করতে পারে না। এসময় এই পরিবারটি একান্ন ভূক্ত ছিল। এতে করে জমি ক্রয়/বিক্রয়ের কোন প্রশ্নই উঠে না। এই দলিলটি (৯৩২০/১৯৫৭সন) সম্পূর্ন্ন ভূয়া এবং সৃজনকৃত। বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত থেকে নিমার্ণ কাজে অস্থায়ী নিষেজ্ঞা জারি করার পর বিবাদী পক্ষ জেলা জজ আদালতে ব্যাকেট করান। বর্তমানে মূল মোকাদ্দমা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নান্দাইল বাজরের উক্ত স্থানে (আড়াই শতাংশ ভূমিতে) ভবন নিমার্ণ কাজ প্রশাসনিক ভাবে বন্ধ রাখার জন্য মামলার বাদী মোঃ নজরুল ইসলাম খান জোর দাবী জানিয়েছেন।