1. [email protected] : amzad khan : amzad khan
  2. [email protected] : NilKontho : Anis Khan
  3. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  4. [email protected] : Nilkontho : rahul raj
  5. [email protected] : NilKontho-news :
  6. [email protected] : M D samad : M D samad
  7. [email protected] : NilKontho : shamim islam
  8. [email protected] : Nil Kontho : Nil Kontho
  9. [email protected] : user 2024 : user 2024
  10. [email protected] : Hossin vi : Hossin vi
ধর্মীয় জ্ঞানচর্চায় সুফি সাধকদের বহুমুখী অবদান | Nilkontho
২৪শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | বৃহস্পতিবার | ৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হোম জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি জেলার খবর আন্তর্জাতিক আইন ও অপরাধ খেলাধুলা বিনোদন স্বাস্থ্য তথ্য ও প্রযুক্তি লাইফষ্টাইল জানা অজানা শিক্ষা ইসলাম
শিরোনাম :
দর্শনায় ৭ কেজি গাঁজাসহ যুবক আটক চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে তবলিগ জামাতের ইজতেমা। দানা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা, প্রজ্ঞাপন জারি ঢাকা ও রংপুরে নতুন বিভাগীয় কমিশনার বায়ার্নের বিপক্ষে অবশেষে জয় পেল বার্সেলোনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে রিভিউ শুনানির অপেক্ষা যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবৈধ অপশক্তিকে অপসারণ করতে রাষ্ট্রপতিকে আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলো দানা ধর্মীয় জ্ঞানচর্চায় সুফি সাধকদের বহুমুখী অবদান ইবি শিক্ষার্থীদের সাথে প্রভোস্ট ড. এ কে এম শামসুল হক সিদ্দিকীর মতবিনিময় জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধিতে ১৫০ লাখ ডলার দেবে ইউএসএআইডি: রিজওয়ানা হাসান ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় জবিতে আনন্দ মিছিল আন্দোলনে শিক্ষার্থী নাজমুল হত্যায় দুই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করায় ছাত্ররাজনীতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে: ছাত্রদল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রিয়াদ গ্রেপ্তার রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের অপসারণে জাতীয় ঐক্যের ডাক ‘দানা’ শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে জামায়াতের রিভিও আবেদন

ধর্মীয় জ্ঞানচর্চায় সুফি সাধকদের বহুমুখী অবদান

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪

জ্ঞানই ছিল ভারতবর্ষের সুফি সাধক ও আধ্যাত্মিক রাহ্বারদের সবচেয়ে ধ্যান-জ্ঞান ও কামনা-বাসনা। তাঁর জ্ঞানের প্রসারে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন এবং জ্ঞানের সেবা করেছেন। তাদের অনেকেই ছিলেন সাহিত্যের বোধ ও উচ্চতর জ্ঞানগত দক্ষতার অধিকারী। তারা বিশ্বাস করতেন, ইলম তথা জ্ঞান ছাড়া আল্লাহর প্রকৃত পরিচয় লাভ করা সম্ভব নয়। মূর্খ সুফিরা শয়তানের ক্রীড়ানক।

এজন্য দেখা গেছে, বহু প্রতিভাবান ও যোগ্য ব্যক্তিদের তারা লেখাপড়া সম্পন্ন করার আগে দ্বিন প্রচারের অনুমতি তথা খেলাফত দান করেননি। প্রকৃতপক্ষে অতীতের শিক্ষা আন্দোলন ও বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণকে পীর-মাশায়েখরা উৎসাহিত করেছেন, নানাভাবে অবদান রেখেছেন। হয়ত তারা প্রত্যক্ষভাবে করেছেন বা পরোক্ষভাবে করেছেন। কাজি আবদুল মুক্তাদির কিন্ধি ও শায়খ আহমদ থানেশ্বরি (রহ.) ছিলেন শায়খ নাসিরুদ্দিন ‘চেরাগে দেহলভি’ (রহ.)-এর শিষ্য এবং একাদশ শতকের প্রখ্যাত শিক্ষক। তারা ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার শীর্ষ পর্যায়ে নেতৃত্ব দান করেছেন। শায়খ লুৎফুল্লাহ কুয়েরভি (রহ.) ছিলেন চিশতিয়া তরিকার বিশিষ্ট বুজুর্গ। তাঁর শিক্ষা কার্যক্রমের ধারা ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। বেশির ভাগ সময় আমরা মাদরাসা ও খানকাকে অঙ্গাঙ্গিভাবে চলতে দেখেছি। জৌনপুরের খানকায়ে রশিদিয়া ও লাখনৌর শায়খ পীর মুহাম্মদের মাদরাসা এবং দেহলভির শায়খ ওয়ালিউল্লাহ বিন আবদুর রহিম (রহ.)-এর মাদরাসা ও গাঙ্গুহের শায়খ রশিদ আহমদ (রহ.)-এর খানকা জ্ঞানের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিকতার দীক্ষার সমন্বয়ের উত্তম দৃষ্টান্ত।

এসব মাশায়েখ ও তাদের খানকার শিক্ষাদান পদ্ধতির অনন্য দিক হলো, তারা মনুষ্যত্ব, মানবিকতা ও আল্লাহ প্রেমের সহযোগে ধর্মীয় জ্ঞানের প্রসার ঘটান। একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিদ্যালয় ছিল তাদের খানকাগুলো। যেখানে হাজারো মানুষের আশ্রয় মিলত। তবে তাদের শিক্ষা ছিল প্রাতিষ্ঠানিকতার ভার ও কাঠামো মুক্ত। ফলে সহজেই যে কেউ অংশ গ্রহণ করত পারত। আবার স্বল্প ও দীর্ঘ সময়ের জন্য অংশগ্রহণের সুযোগ থাকত। তারা সেখানে খাদ্য-পানীয় ও জীবনোপকরণ পেত। তাদের দস্তরকাখানে সৃষ্টি হতো অনন্য দৃষ্টান্ত। তাদের উদার দস্তরখানে একত্র হতো শত্রু ও মিত্র, আত্মীয় ও অনাত্মীয়, ধনী ও দরিদ্র্য। শায়খ নিজামুদ্দিনের দস্তরখান সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত। উদারতা, বাহারি খাবার, স্বাদ ও সুন্দর পরিবেশনার ক্ষেত্রে তা উপমায় পরিণত হয়েছিল।

খানকা ও বিদ্যালয়গুলো পরিচালনায় তারা শাসকদের সহযোগিতার প্রত্যাখ্যান করতেন এবং জনগণকে তাতে সম্পৃক্ত করতেন। যেন শাসকের প্রভাব থেকে আত্মরক্ষা করা যায় এবং জনসাধারণের দ্বিনি চেতনা ও দায়িত্ববোধ তৈরি হয়। শায়খ সাইয়েদ মুহাম্মদ সাঈদ আম্বালাভি (রহ.) ছিলেন খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতকের মনীষী।

তাঁর জীবনী রচয়িতারা লেখেন, ‘তাঁর খানকায় প্রথম যুগেই যারা ইবাদত-বন্দেগিতে লিপ্ত থাকত তাদের সংখ্যা পাঁচ শর চেয়ে কম ছিল না এবং সমপরিমাণ লোক সব সময় যাওয়া আসার মধ্যে থাকত। একবার তাঁর সঙ্গে সম্রাট ফররুখ শিয়ারের আমির রওশন দৌলা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁকে খানকা নির্মাণের জন্য ৬০ হাজার রুপি উপহার দেন। শায়খ রওশন দৌলাকে বলেন, অর্থগুলো এক জায়গায় রেখে তিনি যেন বিশ্রামে যান। ফলে রওশন দৌলা ফিরে যান এবং শায়খ অসহায় মানুষদের খবর দেন। তিনি আম্বালাহ, থানেশ্বর, সেরহিন্দ ও পানিপথের এতিম, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের ভেতর সমুদয় অর্থ বিতরণ করে দেন। তাঁর হাতে একটি অর্থও রাখলেন না। এরপর রওশন দৌলা এলে শায়খ তাকে বলেন, ‘অসহায় মানুষ ও যারা নিজেদেরকে আল্লাহর রাস্তায় নিয়োজিত রেখেছে তাদের সেবা করার সওয়াব ভবন নির্মাণের চেয়ে বেশি।’ একবার শায়খ সাইয়েদ মুহাম্মদ সাঈদ (রহ.)-এর কাছে সম্রাট মুহাম্মদ ফররুখ শিয়ার, আমির রওশন আলী ও আমির আবদুল্লাহ খানের চিঠি পৌঁছায় তিন লাখ রুপিসহ। তিনি পুরো টাকা প্রতিবেশী গ্রাম ও এলাকাগুলোর অধিবাসীদের মধ্যে বিতরণ করে দেন।
সুফি সাধকদের খানকা ও বিদ্যালয়গুলো ছিল বৈষম্যহীন এবং সর্বশ্রেণির মানুষের জন্য উন্মুক্ত।

সাইয়েদ মানাজির আহসান গিলানি (রহ.) যথার্থ বলেছেন, ‘এসব খানকাগুলোই ছিল ধনী-গরিবের মধ্যে একমাত্র সেতুবন্ধন। সুফি সাধক ও মাশায়েখদের দরবার ছিল এমন ভাণ্ডার যেখানে রাজা-বাদশারাও খাজনা জমা দিত। যুবরাজ খিজির খান শায়খ নিজামুদ্দিনের দরবারে উপস্থিত হয়ে উপকৃত হতেন। এমনিভাবে সম্রাট আলাউদ্দিন যিনি সমগ্র ভারতবর্ষ থেকে কর আদায় করতেন, তিনি একটি দরবারে কর জমা দিতে বাধ্য ছিলেন। ধনী ও দরিদ্রের এই ঐক্য ও মেলবন্ধন সুফি সাধক ও পীর-মাশায়েখ যাদের দরবারে ধনী ও দরিদ্র সবাই সমানভাবে উপস্থিত হতো এবং উপকৃত হওয়ার সুযোগ পেত। তাদের মাধ্যমে অসহায় মানুসের অভাব পূরণ হতো। বাস্তবতা হলো ভারতবর্ষের ইতিহাসে এমন যুগ যায়নি এবং ভারতের এমন কোনো অঞ্চল ছিল না যেখানে পীর-মাশায়েখ ও সুফিরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নিম্নোক্ত হাদিস বাস্তবায়ন করেননি। তা হলো ‘জাকাত তাদের ধনীদের কাছ থেকে গ্রহণ করে দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ কোরো’। সুতরাং তারা ছিলেন দরিদ্র, অসহায় ও নিঃস্ব মানুষের জন্য আশির্বাদ স্বরূপ।

প্রকৃতপক্ষে ভারতবর্ষে সুফিবাদের ইতিহাস সাধনা, অল্পে তুষ্টি, আত্মমর্যাদা, সম্মান, উচ্চাঙ্ক্ষা ও পরোপকারের উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে ভরপুর। এ দেশের কোনো সুফিধারাই এসব গুণাবলী ও তার দৃষ্টান্ত থেকে শূন্য নয়। তারা নিজেদের জীবনাচারের মাধ্যমেও ইসলামের শিক্ষাকে তুলে ধরেছেন। যেমনটি মহানবী (সা.)-এর ব্যাপারে বলা হয়। নকশাবন্দিয়া মুজাদ্দেদিয়া তরিকার বিশিষ্ট বুজুর্গ ছিলেন শায়খ শামসুদ্দিন হাবিবুল্লাহ (রহ.)। তিনি মির্জা জানে জানাঁ দেহলভি নামে পরিচিত ছিলেন। একবার ভারত সম্রাট তাঁকে বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমাকে সুবিশাল রাজত্ব দান করেছেন। আমি চাই আপনি তা থেকে কিছু অংশ গ্রহণ করুন। তিনি বলেন, আল্লাহ দুনিয়াকে নীচু ও হীন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, বলুন! দুনিয়ার ভোগ-বিলাস অতি সামান্য। আপনারা পৃথিবীর মহাদেশগুলোর একটি মহাদেশের ছোট্ট রাজত্ব লাভ করেছেন। সুতরাং আমি এই ছোট অংশে অনাধিকার চর্চা করতে চাই না।

একবার ‘টুংকু’-এর শাসক নবাব মির খান শায়খ গোলাম আলী দেহলভি (রহ.)-এর খানকার বার্ষিক সভার ব্যয়ভার গ্রহণের আবেদন করলেন। শায়খ তার উত্তরে একটি কবিতা লিখলেন। যার অর্থ নিম্নরূপ‘আমরা দারিদ্র্য ও অল্পে তুষ্টিকে অবশ্যই ছোট করে দেখি না এবং তার সম্মানের ওপর আঁচর কাটতে চাই না। তুমি মির খানকে বোলো দাও আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত।’

তাদের এই নির্মোহ জীবনধারাও ছিল সাধারণ আলেম ও ধর্মীয় নেতৃত্বের জন্য উত্তম শিক্ষা।

তামিরে হায়াত থেকে আলেমা হাবিবা আক্তারের ভাষান্তর

এই পোস্ট শেয়ার করুন:

এই বিভাগের আরো খবর

নামাযের সময়

সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৪৭
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:৩৮
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫২
  • ১১:৫৩
  • ৩:৫৭
  • ৫:৩৮
  • ৬:৫২
  • ৬:০৪

বিগত মাসের খবরগুলি

শুক্র শনি রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১