নিউজ ডেস্ক:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, দেশের প্রত্যেকটি কারাগারকে সংশোধনাগার হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
কারাবন্দীদের মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলাসহ বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারাবন্দীরা যাতে স্বজনদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মনে না করেন সে কারণে মোবাইল ফোনে কথা বলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দীদের সংশোধন ও পুনর্বাসনের জন্য নবনির্র্মিত গার্মেন্টস ইন্ড্রাস্ট্রি এবং জামদানী উৎপাদন কেন্দ্র ‘রিজিলিয়ান্স’র উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীক, সেলিম ওসমান, শামীম ওসমান ও নজরুল ইসলাম বাবু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ, আইজি প্রিজন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন,জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া, পুলিশ সুপার মঈনুল হক প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন,বন্দীরা যাতে ভবিষ্যতে কর্ম জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সেজন্য তাদেরকে বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে উদ্বোধন করা ‘রিজিলিয়ান্স’ কারাবন্দীরাই চালাবেন। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য কারাগারেও এই সুবিধা সংবলিম্ব ইউনিট গড়ে তোলা হবে। কারাগারের ভেতরে মাদকসহ অবৈধ কোন জিনিস যাতে ঢুকতে না পারে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এজন্য কারারক্ষীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ ও গেইটে স্ক্যান মেশিন বসানো হয়েছে।
আইজি প্রিজন বলেন, দীর্ঘ মেয়াদী বন্দীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হবে এবং স্বল্প মেয়াদী বন্দীদেরও প্রশিক্ষণ দিয়ে এ কাজে লাগানো হবে। পরিবেশ অনুযায়ী বন্দীদের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
সংসদ সদস্য ও বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান বলেন, কারাগার কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বায়ার আসার সুযোগ দিলে এখান থেকে তৈরী পোশাক বিদেশে রপ্তানী করে বছরে ১০ থেকে ১৫ লাখ ডলার আয় করা সম্ভব।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফতুল্লার পঞ্চবটি বিসিক শিল্পনগরীতে ফায়ার সার্ভিস ও এন্ড সিভিল ডিফেন্স কার্যালয় উদ্বোধন করেন।