নিউজ ডেস্ক:
এবার একটি বা দুটি নয়, ২৪টি রাশিয়ান সুখোই এসউ-৩৫ কেনার কী দরকার পড়ল চীনের! ব্যাপারটা যেন অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না। এই লেনদেনের আর্থিক অঙ্কের পরিমাণ শুনলে হয়তো চোখ কপালে উঠবে।
জানা যায়, চীন ও রাশিয়ার মধ্যে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র কেনাবেচার চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে!
এই চুক্তির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রাশিয়ান স্টেট কর্পোরেশনের রসটেকের ডিরেক্টর জেনারেল সের্গেই কেমেজভ। সের্গেই কেমেজভ জানিয়েছেন, খাতায়-কলমে চীনই প্রথম রাশিয়ান এসউ-৩৫ এয়ারক্রাফটের ক্রেতা হতে চলেছে। সরকারি সূত্রের খবর, চীনের অর্ডার দেওয়া ২৪টি এসউ-৩৫ বিমান তৈরি হবে রাশিয়ার পূর্ব প্রান্তে কমসমলস্ক-অন-অমুর এয়ারক্রাফ্ট প্রোডাকশন অ্যাসোসিয়েশনে। একেকটি বিমান কিনতে চীনের খরচ হবে প্রায় ৮৩-৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যদিও এই লেনদেন বর্তমান সময়ের নয়। বছরখানেক আগে রাশিয়ার সঙ্গে এই যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষে আধুনিক এই রাশিয়ান ফাইটার জেট চীনের কাছে তুলে দেওয়া হবে। যদিও প্রাথমিকভাবে ১০টি যুদ্ধবিমান চীনকে দেওয়া হবে। এরপর ধীরে ধীরে তা আরও সাপ্লাই করা হবে।
কলকাতা টুয়েন্টিফোর’র খবরে বলা হয়, এসউ-৩৫ (ন্যাটো যার নাম দিয়েছে ফ্ল্যাঙ্কার-ই) হল ফোর্থ জেনারেশন প্লাস প্লাস ক্যাটাগরির যুদ্ধবিমান। টুইন ইঞ্জিনে বলীয়ান, যুদ্ধে পারদর্শী মাল্টি-ফাংশানাল ফাইটার জেটটিতে রয়েছে টুইন এ এল-১১৭ টার্বোফান ইঞ্জিন। আর এই ইঞ্জিনের কারণেই নয়া জেটটি চীনের এত পছন্দ। বেইজিং গত কয়েকবছর ধরেই ফিফথ জেনারেশন যুদ্ধবিমানে লাগানোর মতো উপযুক্ত ইঞ্জিন তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু কোন প্রচেষ্টাই মনের মতো হচ্ছে না। চীনের ফিফথ জেনারেশন প্রোটোটাইপ মডেল “দ্য চেংদু জে-২০” ও “শেনইয়াং জে-৩১” ফাইটার জেটের জন্য শক্তিশালী ইঞ্জিন চাই বেজিংয়ের। এই দুটি বিমানই এখন উড়ছে রাশিয়ার পুরানো ইঞ্জিনের দৌলতে।