নিউজ ডেস্ক:
দল ভারী করতে কোন খারাপ লোক, সন্ত্রাসী, সাম্প্রদায়িক মতাদর্শী কোন ব্যক্তি কিংবা ইয়াবা আসক্ত কাউকে আওয়ামী লীগের সদস্য না করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচী-২০১৭ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, অন্ধকারের দিকে আর ফিরে যাবে না আওয়ামী লীগ। ভালো ব্যবহার করে জনগনের মন জয় করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের পরামর্শ দেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর ফজলুল হক এভিনিউতে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলালের সভাপতিত্বে সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আর রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে সাড়ে আট বছর আগে টেমস নদীর পাড়ি জমিয়েছেন, এখন তারা আসতে ভয় পাচ্ছেন। যারা মামলা-হামলা, জেল-জুলুম ভয় পায়, তাদের এ দেশের মাটিতে রাজনীতি করার অধিকার নেই। তারা আবার নির্বাচনে জেতার স্বপ্ন দেখে। এ দেশের মানুষ কি বোকা ?
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঈদের পর দুর্বার আন্দোলনের হুমকি দিয়েছিলেন। ঈদের পর, দিন গেলো, সপ্তাহ গেলো, মাস গেলো আন্দোলনের খবর নেই। বিএনপি’র আন্দোলনের ডাক আষাড়ের গর্জন। দেখতে দেখতে ৮ বছর গেলো, আন্দোলন হবে কোন বছর। আন্দোলন এখন বেগম জিয়ার সাথে লন্ডনে। এ কারনে বিএনপি নেতাকর্মীরাও হতাশ।
জিয়া পরিবারকে উদ্দেশ্যে করে ওবায়েদুল কাদের বলেন, চিকিৎসার নামে লন্ডনে বসে শেখ হাসিনার সরকার হটানোর চক্রান্ত করছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র সহায়তায়।
বিএনপি’কে আবারো নালিশ পার্টি কটাক্ষ করে সড়ক মন্ত্রী বলেন, কান্নাকাটি আর নালিশ ছাড়া বিএনপি’র কোন রাজনীতি নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব বরিশালে এসেছিলেন। মহাসচিবের সামনে ঘরের মধ্যে মারামারি, হাতাহাতি ঘুষাঘুষি হয়েছে। দলের উপর তাদের কন্ট্রোল নেই। যেখানেই বিএনপি সেখানেই মারামারি।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট একে এম জাহাঙ্গীর ও প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ার রাজিবের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান এমপি, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস এমপি বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য গোলাম রব্বানী চিনু এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক গাজী নঈমুল হোসেন লিটু অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান শুরুর পরপরই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সদস্য পদ নবায়নের মধ্য দিয়ে বরিশালে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচীর উদ্ধোধন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদের।
এর আগে বিকেল ৩টার পর থেকে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল এসে অনুষ্ঠান স্থলে যোগ দেয়। নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরাতন সদস্য নবায়ন অনুষ্ঠান হলেও এক পর্যায়ে সেখানে নেতাকর্মীদের ঢল নামে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে অনুষ্ঠান সমাবেশে পরিণত হয়। দলের সাধারণ সম্পাদকের আগমণ উপলক্ষ্যে বরিশালে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরী করে পুলিশ সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও ছিলো তৎপর।