চুয়াডাঙ্গায় সরকারি ত্রাণের ১৫০টি কম্বল চুরির অভিযোগে আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও একই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিণ্টুকে ৫ সহযোগীসহ আটক করেছে যৌথবাহিনী।
মঙ্গলবার বিকেলে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। আলমডাঙ্গা থানার ওসি মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃত অন্যরা হলেন- আবু সাঈদ পিণ্টুর সহযোগী হাশেম মালিথার ছেলে মেহেদী হাসান ও রাজা বাবু, রইচ উদ্দীনের ছেলে শাহজাহান, কামালপুর গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে বাপ্পি রহমান ও কুমারী গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে সোহেল।
পুলিশ জানায়, বিগত অর্থ বছরের ১৫০টি সরকারি কম্বল দুস্থদের মাঝে বিতরণ না করে নিজ হেফাজতে রেখেছিলেন চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টু। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের নতুন বিল্ডিংয়ের নিচ তলার পশ্চিম পাশের একটি কক্ষে রাখা ত্রাণের ১৫০টি সরকারি কম্বল জব্দ করে।
এ সময় ইউপি ভবনের দোতলার কক্ষ থেকে ৩ বোতল ফেনসিডিল, ২টি মদের খালি বোতল, খেলনা পিস্তল, দেশীয় ধারালো অস্ত্র, ২টি হুক্কা, ৪৪টি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, গাঁজা সেবনের সরঞ্জামসহ নগদ ১২ হাজার ৮৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এরপরই চেয়ারম্যানকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, ‘দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে