ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এফওসি হবে প্রথম পদক্ষেপ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

0
5

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির নেতৃত্বে একটি ভারতীয় প্রতিনিধিদল ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বাংলাদেশে সফর করবে। এই সফরটি বাংলাদেশ-ভারত ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) পরবর্তী পর্বে অংশগ্রহণের জন্য অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার প্রতিফলন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বুধবার সন্ধ্যায় বাসসকে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা (ঢাকা-দিল্লি) স্বাভাবিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দিকে এগোচ্ছি এবং এফওসি হবে সেই দিকেই অগ্রসর হওয়ার প্রথম পদক্ষেপ।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, ঢাকা ও নয়াদিল্লি বাস্তবসম্মতভাবে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে এগিয়ে যাবে।

উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করি, এবং একইভাবে আমি বিশ্বাস করি, ভারতের জন্যও বাংলাদেশ সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ইকুয়ালি গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘কিছু সমস্যা থাকতে পারে, তবে তা স্বাভাবিক। উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সময় কিছু সমস্যা সৃষ্টি হওয়া অপ্রত্যাশিত নয়, তবে আমরা এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে এক ভাল সম্পর্ক গড়ে তোলার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’

শেখ হাসিনার ভারতের অবস্থান এবং এর প্রভাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যদি তিনি প্রতিবেশী দেশে না থাকতেন, তবে সম্পর্কের উন্নয়ন প্রক্রিয়া সহজ হত।’ গণ-অভ্যুত্থান এবং শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান বাংলাদেশের ভারত সম্পর্কের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য মোড় নিয়েছিল, যা একসময় ‘সোনালি অধ্যায়’ হিসেবে চিহ্নিত থাকলেও বর্তমানে তা কিছুটা টানাপোড়েনে রয়েছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিন এফওসিতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। ঐতিহ্য অনুযায়ী, এই দলে স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য, পানিসম্পদ ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। সফরের সময়, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

সর্বশেষ, ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বার্ষিক এফওসি-তে উভয় পক্ষই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নত করতে নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।