হাবিবুল ইসলাম হাবিব, টেকনাফ: টেকনাফ পৌরসভার বাস ষ্টেশন এলাকায় ছিদ্দিক কলোনিতে আগুনে ২৩ টি ভাড়াবাসা ও তিনটি মালামালের গোদাম স¤পূর্ণ পুড়ে গেছে। এতে প্রায় দেড়কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ৭ নং রুমের রিদুয়ানের বাসার গ্যাসের চুলা থেকে আগুনের সুত্রপাত বলে জানিয়েছেন কলোনীর বাসিন্দারা। এই ঘটনার তাৎক্ষণিক ভাবে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলেও পানি বিহীন গাড়ী আসায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় আগুন লেগে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
গতকাল ৮ মে সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার বাস ষ্টেশনের ছিদ্দিকী কলোনীতে এঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, টেকনাফ পৌরসভার বাস ষ্টেশন এলাকায় কলোনীতে বিভিন্ন এলাকার বসবাসরত বাসিন্দারা ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করে আসছে। ৭ নং বাসার বাসিন্দা রিদুয়ানের গ্যাসের চুলায় ভাতের পাত্র চুলায় দিয়ে তার নিকটস্থ দোকানে চলে যায়। একপর্যায়ে সেই বাড়ীর গ্যাসের সিলিন্ডার বিষ্ফোরন হয়ে আগুনের সুত্রপাত হয়। মুহুর্তে আগুনের লেলিহান চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে রিদুয়ান তার বাসা থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়নি বলে দাবী করেন তিনি। স্থানীয়রা বহু চেষ্টা করেও আগুন নিভাতে পারেনি।
প্রাণ বাঁচাতে মানুষ চারদিকে ছুটোছুটি করে। কোন বাসা থেকে বিন্দু পরিমান মালামাল বের করতে পারেনি। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পানি নিয়ে পৌঁছতে দেরী হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই কলোনীতে ২৩ টি ভাড়া বাসা ও ২টি ইলেক্ট্রনিক্স ও ১ টি ফুলের গোদাম রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি পরিমান প্রায় দেড় কোটি টাকা বলে কলোনীর একাংশের মালিক জালাল আহমদ জানান।
কলোনীর বাসিন্দা রোজিনা জানান, ৭ নং বাসা থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বি®েপারন হয়ে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। তার সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
জুবাইর ইলেক্ট্রনিক্সের স্বত্ত্বাধিকারী জাকের হোসাইন জানান, গোদামে প্রায় ৭/৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ছিল। আগুনে সবকিছু পুড়ে গেছে। তিনিও ফায়ার সার্ভিসের গাফেলতির ফলে তাৎক্ষনিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়নি বলেও জানান।
এদিকে আগুন লেগে ৩ জন আহত হয়েছে। এরা হচ্ছে ছৈয়দ হোছনের স্ত্রী ফাতেমা (৫০) রেহেনা (১৬), সোলতান আহমদের পুত্র শেখ আহমদ (১০)। আহতদের টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মা ও মেয়েকে কক্সবাজারে প্রেরণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশংকাজনক।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিকী ও মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
টেকনাফ ফায়ার সাভিসের ফায়ারম্যান মো. শিমুল হোসেন জানান, খবর পাওয়া মাত্র আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেছি। পানি বিহীন গাড়ী ঘটনাস্থলে যাওয়া প্রশ্নই উঠেনা। গাড়ীটি সার্বক্ষনিক পানি ভর্তি অবস্থায় রাখা হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান তাৎক্ষনিকভাবে নিরুপন সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িওয়ালা জালাল আহমদ জানান, আগুনের বিষয়টি অত্যান্ত রহস্য জনক। তাই অনতিবিলম্বে তদন্ত করে আসল রহস্য উদঘাটনের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।