জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ থেকেঃ চার বছর পর ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার রথখোলা গ্রামের শিশু হযরত আলীর হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্ত শেষে মামলায় একমাত্র আসামী হিসেবে রথখোলা গ্রামের আফসার আলী বিশ্বাসের ছেলে মনোয়ার হোসেন মন্টুকে চিহ্নিত করেছে। ২০১৪ সালের পহেলা ফেব্রয়ারি শিশু হযরত আলীকে বলৎকারের পর তাকে হত্যা করে মনোয়ার হোসেন মন্টু। অথচ মামলাটি হরিণাকুন্ডু থানার এসআই আমিরুল ইসলাম, একই থানার পুলিশ পরিদর্শক আনসারী জিন্নাত আলী ও সিআইডির পরিদর্শক আবুল কাসেম মোরিভ ও ক্লু উদ্ধার করতে ব্যার্থ হয়। ঝিনাইদহ পিবিআই’র পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোহাঃ আব্দুর রব গত ২৪ জুলাই তদন্ত শেষে আদালতে চার্জসিট প্রদান করেন। এর আগে মামলার বাদী ও শিশু হযরত আলীর পিতা সিদ্দিক হোসেন হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশ ও সিআইডির তদন্তে আদালতে নারাজি দেন। আদালত বাদীর পিটিশন আমলে নিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তা মোহাঃ আব্দুর রব আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন, আসামী মনোয়ার হোসেন মন্টু দুধর্ষ প্রকৃতির মানুষ। তার আচার আচরণ ভাল না। মামলার বাদীর চাচাতো ভাই আব্দুল মজিদের সাথে ২৩ শতক জমি নিয়ে দ্বন্দের কারণেই শিশু হযরত আলীকে প্রথমে বলৎকার ও পরে হত্যার পর লাশ একটি পরিত্যক্ত কুয়ার মধ্যে ফেলে দেয়। এ ঘটনা সাক্ষি রুস্তম বিশ্বাসের স্ত্রী হাসিয়া বেগম দেখে ফেলেন। প্রথম থেকেই বাদী ও তার স্বজনরা আসামী মন্টুকে প্রবল ভাবে সন্দেহ করে আসছিলো বলেও তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য ২০১৪ সালের পহেলা ফেব্রয়ারি রথখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র হযরত আলী (৮)’র খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যার দিকে তার লাশ একই উপজেলার একটি পরিত্যক্ত কুয়ার মধ্যে পাওয়া যায়।