জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইমোতে প্রশ্ন ও উত্তর আদাণ প্রদানসহ জালিয়াতির নানা অভিযোগে ২ পরীক্ষার্থী ও ১ শিক্ষকসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার সকালে পরীক্ষা চলাকালীন সময় শহরের পিটিআই ও দিশারী প্রি-ক্যাডেট স্কুল ও কলেজ কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গ্রেফতারকৃতরা হলো-চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জাফরপুর গ্রামের গোলাম রহমানের মেয়ে সুরাইয়া আক্তার, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বামনাইল গ্রামের প্রদীপ বিশ্বাসের ছেলে পিকুল বিশ্বাস, যশোরের চৌগাছা উপজেলার ভগবানপুর গ্রামের আবু বকর সিদ্দকীর ছেলে ফারুক হোসাইন, ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়ার বদর উদ্দীনের ছেলে রফিক আহমেদ জনি, হুদা সুরাট গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ শাহীন আলম, ও যশোরের জগহাটি গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আলী রেজা। ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই আবুল কাসেম জানান, শনিবার প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় হামদহ পাওয়ার হাউস পাড়ার দিশারী ইসলামী ইন্সটিটিউটে কেন্দ্র ছিল। সেখানে রেজিষ্টার ফারুকের সহায়তায় পরীক্ষার্থী সুরাইয়াকে তিনজন ভুয়া পরিদর্শক রফিক আহম্মেদ, শাহিন আলম ও আলী রেজা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বাইরে থেকে উত্তর সরবরাহ করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের লোকজন তাদের গ্রেফতার করে। এছাড়া পিটিআই কেন্দ্র থেকে পিকুল নামে এক যুবককে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসাদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯ ধারায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামী করা হয়েছে।