স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন স্থানে গবাদিপশুর ওষুধ কারখানা গজিয়ে উঠেছে। ওষুধ প্রশাসন ও বিএসটিআই এর অনুমোদন না নিয়ে কেবল মাত্র খামারবাড়ি থেকে সনদ নিয়ে ঝিনাইদহের আনাচে কানাচে এমন অসংখ্য গবাদি পশুর ওষুধ কারখানা গজিয়ে উঠেছে। এ সব কোম্পানীর ওষুধ প্রানীকুলের জীবন বিপন্ন করছে বলে অভিযোগ। খোজ নিয়ে জানা গেছে, শৈলকুপার কবিরপুরে এমন একটি কারখানায় প্রনীকুলের জন্য মরণঘাতি ওষুধ বাজারজাত করা হচ্ছে। ঝিনাইদহের ঝিনুক, এরিনা, নিও এগ্রোভেট ও রেডিয়ামসহ বহু কারখানা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ওষুধ তৈরী করে বাজারজাত করছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, এ সব ওষুধ কারখানা ফিড এডিটিভ এর আওতায় খাদ্য সামগ্রী তৈরী করতে পারে। এ জন্য তারা সাইন্স ল্যাবরোটরি থেকে খাদ্য পরীক্ষা করে খামারবাড়ি থেকে সনদ গ্রহন করে। কিন্তু খাদ্য সামগ্রী তৈরীর আড়ালে তারা গবাদিপশুর জন্য ইনজেকশন, এন্টিবায়েটিকসহ নানা ধরণের ওষুধ বাজারজাত করছে। এ ক্ষেত্রে তারা বাইরে থেকে ওষুধ কিনে লেভেল পরিবর্তন ও বিভিন্ন ধরণের কাচাপন্যের সাথে মিশ্রন করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গরু, ছাগল ও হাসমুরগীর জন্য ওষুধ বানাচ্ছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে অনুমোদনহীন এ সব কারখানায় কাগজ কলমে কেমিষ্ট থাকলেও বাস্তবে নেই। কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা আবার কখনো মালিকরাই ওষুধ প্রস্তুত করছে। ওষুধ প্রশাসন ও বিএসটিআই এর অনুমোদন না থাকায় এ সব ওষুধ গাবাদী পশুর জন্য ঝুকি তৈরী করলেও ঝিনাইদহ প্রানী সম্পদ অফিস ও ওষুধ প্রশাসনের কোন নজর নেই। এদিকে ঝিনাইদহ শহরের গোবিন্দপুর এলাকায় এমন একটি গবাদীপশুর নকল ওষুধ তৈরীর কারাখানা সন্ধান পাওয়া গেছে। রোববার দুপুরে এ অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। মালিককে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আদালত সুত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল গোবিন্দপুর গ্রামে রিভোন এগ্রো ফার্মা নামে একটি নকল ওষুধ কারখানার সন্ধায় পায়। পরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির সেখানে অভিযান চালিয়ে নকল ওষুধ জব্দ করে। এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে মালিককে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কারখানা মালিক শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে অন্য কোম্পানীর ওষুধ নিজ কোম্পানীর লেবেল লাগিয়ে বাজারজাত করে আসছিল।