নিউজ ডেস্ক:অভ্যন্তরীণ আমন ধান সংগ্রহে সরকার সচ্ছতা নিশ্চিত করতে কৃষকের এ্যাপসের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করছে। সারাদেশের ১৬ টি উপজেলার মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা এ কর্মসূচীর একটি মডেল। সদর উপজেলার ২১’শ ২৮ জন কৃষককে এ্যাপসের মাধ্যমে লটারী করে নির্বাচিত করা হয়। যারা সরাসরি গুদামে ধান দিবেন ও কৃষকের নিজের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করবেন। এরপরও যেন থেমে নেই মধ্যস্বত্তভোগীদের দৌরাত্বা। প্রকৃত কৃষককে ব্যাংকে নিয়ে তার কাছ থেকে জোরপুর্বক চেক স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সোমবার এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে সদর উপজেলার সুরাট ইউনিয়নে। চেক ছিনতাইয়ে বাঁধা দেওয়ার অপরাধে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। জানা গেছে, সোমবার বিকেলে চুটলিয়া গ্রামের নির্বাচিত কয়েকজন কৃষককে শহরের হামদহ পুবালী ব্যাংকে নিয়ে আসেন সুরাট ইউনিয়নের কবির হোসেন জোয়ার্দ্দার কেবির ভাই শাবু ও কল্যানপুর গ্রামের মৃত. শরাফতের ছেলে জিয়া। শাবু ও জিয়া কৃষকদের ২ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে কৃষক কার্ড ও চেকের পাতায় স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা চুটলিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমান বাঁধা দিয়ে উভয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। পরবর্তীতে সোমবার বিকেলে জিয়া ও শাবুর নেতৃত্বে ৪০/৫০ জন লোক মোটর সাইকেল যোগে চঞ্চলের বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় তারা ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় চঞ্চল বাদী হয়ে সদর থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মঈন উদ্দিন বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।