নিউজ ডেস্ক:
লোডশেডিংয়ের জন্য পরিচিত একটি নাম মোমবাতি। তবে বর্তমানে লোডশেডিং ছাড়াও জন্মদিন, মৃত্যু দিবস কিংবা কোনো উৎসব পার্বণে মোমবাতি ব্যবহার হয়।
আর সেই তালিকায় এখন যুক্ত হয়েছে সুগন্ধি মোমবাতি। এ মোমবাতিগুলোতে আগুন দিলেই নানান সুগন্ধ বের হয়।
তবে গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্যের জন্য এই সুগন্ধি মোমবাতি খুবই ক্ষতিকর। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে, এমন সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালালে ক্ষতিকর বিষে সারা ঘর ভরে যায়। বেশিরভাগ মোমমাবাতিতেই ট্রিক্য়ালেকথেন, এসেটন, জাইলিন, পেনল, ক্রেসল, ক্লোরোবেনজেন প্রভৃতি ক্ষতিকর টক্সিন থাকে, যেগুলি দীর্ঘ সময় শরীরে প্রবেশ করলে স্বাস্থ্যের নানা ক্ষতি হয়ে থাকে।
তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই সুগন্ধি মোমবাতির ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে।
শ্বাস কষ্ট
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সুগন্ধি মোমবাতি বানাতে যে মোম ব্যবহার করা হয় তাতে এমন কিছু টক্সিন থাকে, যা অ্যাজমাসহ একাধিক রেসপিরেটরি প্রবলেম হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। আসলে মোম বাতির ধোঁয়ার সঙ্গে বেরনো টক্সিন ফুসফুসের কর্মক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে মারাত্মক ধরনের ফুসফুসের রোগ দেখা দেয়।
সীসা
প্রায় সব মোমবাতির পোলতেতেই সীসা থাকে। আগুনের সংস্পর্শে আসা মাত্র যে ধোঁয়া বেরয়, তার প্রভাবে মস্তিষ্ক, ফুসফুস এবং লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হয়। সেই সঙ্গে হরমোনাল ইমব্যালেন্স হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
মাথা ব্যথা
সুগন্ধি মোমবাতির ক্ষতিকর প্রভাব হলো মাথা যন্ত্রণা হওয়া। এমন মোমবাতিতে থাকা বেনজিন এবং টলুয়িন নামে দু’টি ক্ষতিকর রাসায়নিক ধোঁয়ার মাধ্যমে নাকে এসে পৌঁছালে শুরু হয় মাথা যন্ত্রণা। তবে সবারই যে এমনটা হবে, তা কিন্তু নয়।
অ্যালার্জি
মোমবাতি বানানোর সেগুলোর গায়ে এক ধরনের সিন্থেটিক সেন্ট দেওয়া হয়। যে কারণে অত সুন্দর গন্ধ বেরতে থাকে। এই বিশেষ ধরনের সুগন্ধি রেসপিরেটরি ট্রাক্টের উপর কুপ্রভাব ফেলে, ফলে প্রথমে শ্বাস কষ্ট, তারপর সারা শরীরে অ্যালার্জি বেরতে শুরু করে দেয়।
কিডনিতে টিউমার
বেশ কিছু মোমবাতিতে প্যারাফিন্তেল নামে একটি উপাদান থাকে। যেটি ধোঁয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ সময় শরীরের প্রবেশ করলে কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হয়। কিছু ক্ষেত্রে কিডনি টিউমার হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। সেই কারণেই তো প্রয়োজন ছাড়া মোমবতি জ্বালাতে মানা করেন বিশেষজ্ঞরা।
ক্যান্সারের আশঙ্কা
একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে মোমবাতিতে উপস্থিত বেনজিন এবং টলুয়িন বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে কোষেদের বিভাজন ঠিক মতো হতে পারে না। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।