নয়টি দোকানের ৩০ লাখ টাকার মালামাল ভষ্মিভূত
নিউজ ডেস্ক:জীবননগরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে ৯টি দোকান ভস্মিভুত হয়েছে। এ ঘটনায় প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষতি হয়েছে। গতকাল বুধবার জীবননগর বাসস্ট্যান্ডে সড়ক ও জনপথের পরিত্যক্ত ডাকবাংলোর সামনে পুরাতন কাপড়ের মার্কেটে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে জীবননগর, দর্শনা ও কোটচাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার বিকাল ৫টার দিকে ডাকাবাংলো মার্কেটে লেপ-তোষকের একটি দোকান থেকে ধোঁয়ার কু-ুলি দেখা যায়। মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিক ছড়িয়ে পড়লে মার্কেটের ৯টি দোকান পুড়ে ভস্মিভুত হয়ে যায়। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত লেপ তোষক ও তুলা দোকানী মনির হোসেনের প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এছাড়াও কাপড় ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেন, নিখিল, রাজু মিয়া, লুৎফর রহমান, জুয়েল আহম্মেদ, বদর উদ্দিন, আব্দুর রহিম ও শহিদুল ইসলামের দোকান আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি জীবননগর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বন্ধু রক্তদান কেন্দ্র ও তালহা ফাউন্ডেশনের সদস্যরাসহ সকল জনসাধারণ মানুষ আগুন নিয়ন্ত্রনের জন্য সহযোগিতা করেন। জীবননগর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার মোশারফ হোসেন জানান, পুরাতন মার্কেটে যে আগুন লেগেছে এটি প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিড়ির আগুন থেকে হয়েছে। যেহেতু ওই স্থানটি একটি পরিত্যক্ত আর পাশেই তুলার লেপ তৈরি করা হয়। কেউ বিড়ি খেয়ে হয়তো আগুন ফেলে রাখায় এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় আনুমানিক ৭ লাখ টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জীবননগর থানার (ওসি) তদন্ত ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, জীবননগরে অগ্নিকা-ের সংবাদ শুনে পুলিশ ঘটনাস্থানে ছুটে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। আগুনের খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আ. লতিফ অমল, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সিরাজুল ইসলাম, জীবননগর পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।