নিউজ ডেস্ক:জীবননগরে টিনের চিমনী থাকায় তিনটি ইটভাটা বন্ধ হলেও আরও ৮টি ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ। জানা গেছে, গত বুধবার (২২ শে জানুয়ারি) চুয়াডাঙ্গা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিব্বির আহম্মেদ জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামে এম এ আর ব্রিক্স, কেডিকে ইউনিয়নের দেহাটি গ্রামের এ আর ব্রিক্স এবং শাহ ব্রিক্সে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় এ তিনটি ইটভাটায় পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকা এবং টিনের চিমনী ব্যবহার করায় এস্কেভেটর দিয়ে ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়ে ইটভাটা তিনটি বন্ধ ঘোষণা করেন। তিনটি ইটভাটা বন্ধ হলেও উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের এনবিএম ব্রিক্স, অনিক ব্রিক্স, হাসাদহ ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের হিরো ব্রিক্স, কেডিকে ইউনিয়নের দেহাটি গ্রামের নিউ ব্রিক্স, সরকার ব্রিক্স, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাজদিয়া গ্রামের সুপার ব্রিক্স এবং কর্চ্চাডাঙ্গা গ্রামের খাঁন ব্রিক্সে প্রকাশ্য ফলজ ও বনজ গাছ ধ্বংস করে ইট পোড়ানোর কাজে এসব গাছের কাঠ ব্যবহার করছে। যার ফলে একদিকে যেমন বনজ সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, জীবননগর উপজেলায় প্রতিনিয়ত ইটভাটা বেড়েই চলেছে। যার ফলে এ উপজেলায় ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে যে হারে গাছ কেটে পোড়ানো হচ্ছে তাতেও অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এর একটা সমাধান হওয়া উচিত। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিরাজুল ইসলাম বলেন, যদি কোনো ইটভাটার মালিক সরকারি আদেশ-নিষেধ অমান্য করে ইটভাটা পরিচালনা করেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।