নিউজ ডেস্ক:
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ আয়োজিত ‘বাংলাদেশে প্রবাসী ভোটাধিকার প্রবর্তন: সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, আগের নির্বাচনগুলোতে সেনা মোতায়েন হয়েছে। তাই যদি প্রয়োজন হয় আগামী জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হতে পারে।
সিইসি বলেন, যারা ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, যারা জেলে থাকেন অথবা প্রবাসীরা সব মিলিয়ে এ সংখ্যা ১০ থেকে ১২ লাখ। তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। তাদের জন্য দুইভাবে ভোট প্রদানে পদ্ধতি প্রচলিত আছে তার মধ্যে পোস্টাল ব্যালট এবং প্রক্সি সিস্টেম। তফসিল ঘোষণার ১৫ দিনের মধ্যে এসব মানুষকে রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদন করতে হয় যে, আমি ভোট দিতে চাই। সেক্ষেত্রে তার জন্য ব্যালট পাঠানো হয়।
কে এম নুরুল হুদা বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে আমরা এ পদ্ধতির বিষয়ে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালাবো। এছাড়া বিভিন্ন দেশে যেখানে বাংলাদেশিরা আছেন সেই দেশের নিয়োজিত রাষ্ট্রদূতদের কাছে এ বিষয়ে চিঠিও পাঠানো হবে। প্রবাসীরা ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়ে আমরা সব ধরনের আলোচনা করবো।
তিনি বলেন, পোস্টাল ব্যালট ছাড়া আরেক পদ্ধতি আছে সেটা হলো প্রক্সি সিস্টেম। যারা প্রতিবন্ধী,অন্ধ, বয়স্ক, শারীরিকভাবে অক্ষম তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যেমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা। কিন্তু বিদেশে যারা থাকেন তাদের জন্য এ পদ্ধতি চালু নেই। এর জন্য আলোচনার মাধ্যমে কোনো পথ বের করা যায় কী না সেটা দেখতে হবে।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, প্রাক্তন মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সারা টেইলর, ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের ডিরেক্টর আব্দুল আলিম প্রমুখ।
রাইজিংবিডি