নিউজ ডেস্ক:
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণে প্রাধান্য পেয়েছে রাখাইনের মানবিক বিপর্যয়।
কিন্তু ভাষণে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নাম একবারও মুখে আনেননি তিনি।
সুচি বলেন, রাখাইন রাজ্যে তিনটি প্রধান করণীয় সামনে আসে। তা হলো প্রথমত, বাংলাদেশে যারা চলে গেছে তাদের প্রত্যাবাসন ও কার্যকরভাবে মানবিক সহায়তা দেওয়া। দ্বিতীয়ত, পুনরায় স্থানান্তর ও পুনর্বাসন। তৃতীয়ত, অঞ্চলটির উন্নয়ন ও স্থিতিশীল শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে ৫ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ভাষণে সু চি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত দু’বার বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। অতীতের সাফল্যের ধারায় এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো আলোচনা হচ্ছে।
সু চি আরও বলেন, আমাদের দেশের বিরুদ্ধে অনেক সমালোচনা হচ্ছে।
যদিও আমাদের দেশের প্রকৃত অবস্থা আমাদের চেয়ে ভালো আর কেউ বুঝবে না। অন্য কেউই আমাদের মতো করে আমাদের দেশের শান্তি ও উন্নয়ন কামনা করবে না। দেশের শান্তি ও উন্নয়ন আমাদের চেয়ে কেউ বেশি চাইতে পারে না। তাই এসব সমস্যা আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের আন্তর্জাতিক মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন, সমালোচনা ও অভিযোগের জবাব কথায় না দিয়ে আমাদের পদক্ষেপ ও কাজ দিয়ে বিশ্বকে দেখিয়ে দেব। যারা বাংলাদেশ থেকে ফিরে আসবে শুধু তাদের নিয়ে কাজ করলেই হবে না, বরং দাইং-নেত ও মাইওর মত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, রাখাইন জাতি ও হিন্দুদের নিয়েও আমাদের কাজ করতে হবে। তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য আমাদের দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে এবং আগামী বছরগুলোয় সংঘাতময় এই অঞ্চলে স্থিতিশীল শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে হবে।