নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা : সুবিচারের আশ্বাস পুলিশের
নিউজ ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার নিচের বাজারে চুরির টাকা ও মালামালসহ হাতেনাতে দু’চোর আটক হওয়ার ঘটনা একমাসও অতিক্রম করেনি। এরইমধ্যে আবারও দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে সংঘবদ্ধ চোরচক্র। গত রোববার দিনগর গভীররাতে নিচের বাজারের পাঁচটি মুদি দোকানে হানা দেয় চোরেরা। একটি দোকান থেকে ১৮ হাজার নগদ টাকাসহ অন্যান্য দোকানগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু খোয়া যায়নি। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিচের বাজারের দুই নৈশ প্রহরীকে থানা হেফাজতে নিয়েছে থানা পুলিশ। তবে এখনও কোন মামলা করা হয়নি। এ পর্যন্ত জড়িত কাউকে আটকও করা সম্ভব হয়নি। তাদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন খান। তিনি জানিয়েছেন, পাঁচটি দোকানে চুরির চেষ্টা চালানো হয়েছে। এরমধ্যে একটি দোকান থেকে নগদ অর্থ খোয়া গেছে। বাকী দোকানগুলোর উপরের টিন কাটা হয়েছে তবে কিছু নিয়ে যেতে পারেনি চোরেরা।’
স্থানীয় দোকানদার ও জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায় তারা। সকালে (সোমবার) দোকান খুলতেই চোখে পড়ে উপরের (ছাউনি) টিন কাটা। এরূপ দেখা যায় নিচের বাজারের ১নং গলির চারটি ও ২নং গলির একটি দোকানে। দোকানগুলো হচ্ছে- ঠান্ডু মিয়ার ঠান্ডু ষ্টোর, আমানুল্লাহ খোকনের মুদি দোকান, হামিদুর রশিদ জনির জনি ষ্টোর, স্বপন মিয়ার স্বপন ষ্টোর ও খোকন মিয়ার খোকন ষ্টোর। এরমধ্যে প্রত্যেকটি দোকানের টিন কাটা হলেও তেমন কিছু নেয়নি চোরেরা। তবে খোকন ষ্টোরের ক্যাশবাক্স ভেঙে নগদ ১৮ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করা হলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাজারের দু’জন নৈশ প্রহরীকে আটক করা হয়।
এদিকে, গতকাল সন্ধ্যার পর পরই নিচের বাজারের সমস্ত দোকান/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর এক জরুরী সভায় মিলিত হন ব্যবসায়িরা। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি আশাদুল হোসেন জোয়ার্দ্দার লেমনের সভাপতিত্বে জরুরী সভায় বক্তব্য রাখেন সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের জগলু, সহ সভাপতি মহিদুল ইসলাম ভাষা, সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবুসহ নেতৃত্বশীল ব্যবসায়ীরা। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফির পরিচালনায় জরুরী সভা থেকে ‘দোকান মালিক/ব্যবসায়ি, শ্রমিক ও নৈশ প্রহরীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত’সহ কয়েক দফা দাবি নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের প্রস্তুতি নেয়া হয়। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল খালেক ব্যবসায়িদের জরুরী সভায় উপস্থিত হয়ে সমসাময়িক ঘটনা ও বিষয় তদন্তপূর্বক সুবিচারের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘এর আগে এই বাজারে চুরির ঘটনা ঘটেছে এবং আমরা তাৎক্ষণিক চোরচক্রকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। এবারের ঘটনার খবর পাওয়ার পর পরই আমরা মাঠে নেমেছি। আপনাদের সহযোগিতা পেলে শিগগিরই জড়িতদের আটক করা সম্ভব হবে।’
সম্প্রতি আরেকটি চুরির ঘটনায় নৈশ প্রহরীর বিচক্ষণতায় দুই চোরকে আটক করে উত্তম মাধ্যম শেষে পুলিশে দেয় উৎসুক জনতা। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত চোরচক্র তাদের উপর প্রতিশোধ নিতেই এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা ব্যবসায়ী মহলের। এদিকে রাতের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ মঙ্গলবার সকালে দুই নৈশ প্রহরীকে ব্যবসায়ীদের মাঝে ফিরিয়ে দেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছে পুলিশ।