বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতে পান পচা ও পানের গোড়াপচা রোগ

নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় একটি প্রবাদ আছে ‘বোটা বেচে কোঠা’। পান মানে পানের বোটা। অথচ চুয়াডাঙ্গা জেলার সম্ভাবনাময় এ পান চাষে দেখা দিয়েছে পচন রোগ। অনেকেই বলছেন নিয়মিত শৈতপ্রবাহের কারণে এ পান পচা ও পানের গোড়াপচা রোগ দেখা দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলার মাঠের পর মাঠ পানের বরজগুলোতে পানের গোড়াপচা ও পান পচা রোগ দেখা দিয়েছে। কৃষকেরা এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে নানা প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করেও পানের এ রোগ দমন করতে পারছেন না। কৃষকেরা জানিয়েছেন পানের পাতায় পচা লাগা ও পনের গোড়াপচা রোগ দমন করতে না পারলে চলতি বছর পান চাষে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, কৃষিপ্রধান জেলা চুয়াডাঙ্গার প্রধান অর্থকরী ফসলের মধ্যে পানের অবস্থান দ্বিতীয়। বর্তমানে এ জেলার ১ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে পানের চাষ হয়েছে। চলতি বছর প্রতি হেক্টরে প্রায় ১০ মেট্রিক টন হারে ১৭ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন পান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এ জেলার পান দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে, আয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। তবে নিয়মিত শৈতপ্রবাহের কারণে পান চাষে এবার লাভবান হওয়া যাবে না, এমনটিই মনে করছেন স্থানীয় পানচাষিরা। এ ছাড়া কৃষকেরা অভিযোগ করেন, জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারীরা ঠিকমতো মাঠে যান না। যে কারণে তাঁরা পরামর্শের অভাবে পানের রোগ-বালাই দমনে সঠিক ব্যবস্থাও নিতে পারছেন না।
তবে কৃষকদের এ অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানান চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক সুফী মো. রফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, এটা সত্য যে পরিমাণ কৃষক বৃদ্ধি পেয়েছে, সে হারে কৃষি উপসহকারী নেই। তবে পানচাষিরা পরামর্শ পেতে কৃষি ক্লাবে গেলে কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সঠিক পরামর্শ পাবেন। পান পচা ও পানের গোড়াপচা রোগ দমনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাঠপর্যায়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular