নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেছেন, ‘অতীতের তুলনায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব হবে স্মরণীয়। কারণ এবার শারদীয় দুর্গোৎসব চলাকালীন তাদেরকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হবে না। স্বার্থান্বেষী আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসবে বিভিন্ন ধরনের উস্কানি দিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রাখতো। এবার তা হতে দেওয়া হবে না।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা চেম্বার অব কমার্সের সম্মেলনকক্ষে বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে পূজা উদ্যাপন কমিটির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা বিএনপি-জামায়াতের ঘাড়ে দায় চাপাতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আঘাত করতো। কিন্তু বিএনপি বা জামায়াত কখনোই কোনো ধর্মাবলম্বীদের ধর্মেই আঘাত করেনি, আগামীতেও করবে না। জেলার চারটি উপজেলাতে নির্বিঘেœ শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এই দুর্গোৎসবের আগের দিন থেকে বিসর্জনে দিন পর্যন্ত প্রশাসনের পাশাপাশি বিএনপির কর্মীরা পূজা ম-পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। পূজা ম-পগুলোতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের কোনো আঘাত যেন না লাগে, সেদিকেও খেয়াল রাখা হবে।’
জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপন চক্রবর্তীর সভাতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাড. রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর জামায়াতের রাজনৈতিক দলের একজন কর্মী হিসেবে এমন একটি সভার সাক্ষী হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমরা চাই শান্তি-সমৃদ্ধির জেলা হোক এই চুয়াডাঙ্গা। এই প্রত্যাশা নিয়ে আমরা দুই ভাই জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ ও আমি রুহুল আমিন এই সভায় যুক্ত হয়েছি। সকল ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে সকলের সহযোগিতায় আমরা আমাদের এই জেলাকে সমৃদ্ধির জেলা হিসেবে গড়ে তুলব। আপনারাও আমাদের সাথে থাকবেন, এই প্রত্যাশা রাখছি।’
তিনি আরও বলেন, যে মন্দিরগুলো সমস্যার কারণে পূজাম-প তৈরি করতে পারছে না, সেইগুলোর তালিকা নিয়ে আমরা সমাধানের চেষ্টা করব। গোপালপুর ও দামুড়হুদার দাসপাড়া মন্দিরের যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তা আগামীকালের মধ্যেই সমাধানে পদক্ষেপ নেয়া হবে। এসময় মন্দির দুটিতে প্রয়োজনীয় টিন প্রদানেরও ঘোষণা দেন তিনি। রুহুল আমিন বলেন, কোনো ধর্মই হত্যা লুণ্ঠন ধর্ষণের কথা বলে না, সকল ধর্মই সম্প্রীতির কথা বলে, আমরা সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাই।
জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সদস্য চিরকুমার স্বার্থ কনকের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার কু-ু, জাতীয়তাবাদী কৃষক দল চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের পরিচালক আরিফ হোসেন জোয়ারদার সোনা, ব্যবসায়ী সুমন পারভেজ খানসহ জেলার চারটি উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ। সভার শুরুতে পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন পূজা উদ্যাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপন চক্রবর্তী।